ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গম কাটা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৯

জেলা প্রতিনিধি | মেহেরপুর | প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ১২ মার্চ ২০২১

মেহেরপুরের গাংনীতে জমির গম কাটা নিয়ে সংঘর্ষে দুই পক্ষের নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলার ধানখোলা গ্রামের মোজাফফর গ্রুপ ও তোফাজ্জেল গ্রুপে নামের দু’গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষে ঘটে।

আহতদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, মোজাফ্ফর গ্রুপের ইসলাম মণ্ডলের ছেলে জিনারুল (৪০), মোজাফ্ফরের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪৭), সাবান আলী (৫০) ও দেলোয়ার (৩০) এবং ফরমান আলীর ছেলে ফাকের আলী (৩০)। আর তোফাজ্জেল গ্রুপের একলাছ মণ্ডলের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬০), ইজাজ আলীর ছেলে জিনারুল ইসলাম (৩৫) ও মিনারুল ইসলাম (৩০) এবং নজরুল ইসলামের ছেলে সেন্টু মিয়া (৩৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ২৭ বিঘা জমি নিয়ে মোজাফ্ফর গ্রপের সঙ্গে তোফাজ্জেল গ্রুপের বিরোধ ও মামলা চলছিল। ২০২০ সালে উচ্চ আদালত মোজাফ্ফর গ্রুপের পক্ষে রায় দেন। ওই জমিতে বর্তমানে গমের আবাদ হচ্ছে।

jagonews24

তবে উচ্চ আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও তোফাজ্জেল গ্রুপ সশস্ত্র অবস্থায় ওই জমির গম কেটে আনছিল। এতে বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মোজাফ্ফর গ্রুপের পাঁচজন ও তোফাজ্জল গ্রুপের চারজন আহত হন।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে মোজাফ্ফর গ্রুপের জিনারুল, আসাদুল ও সাবান আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মোজাফ্ফর আলীর ছেলে কামরুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে তোফাজ্জেল হোসেনের সঙ্গে মামলা চলছিল তাদের। মেহেরপুর ও উচ্চ আদালত থেকে পরপর তিনটি রায় নিজেদের পক্ষে পান তারা। তবুও তোফাজ্জেল গ্রুপ ওই জমির গম কেটে আনতে গেলে বাঁধা দেয়া হয় তাদের পক্ষ থেকে। এসময় তোফাজ্জেল গ্রুপ তাদের ওপর আক্রমণ করেন।

jagonews24

এদিকে পাল্টা অভিযোগ করে তোফাজ্জেল হোসেন জানান, আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন এবং ওই জমিতে তিনি ও তার লোকজন চাষাবাদ করেছেন। গম কেটে আনার সময় মোজাফ্ফর গ্রুপের লোকজন তাদের উপর আক্রমণ চালায়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মোজাফ্ফর গ্রুপের লোকজন মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আসিফ ইকবাল/এসএমএম/এএসএম