খাল ভরাট করে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ রাস্তা নির্মাণ!
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে খাল ভরাট করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবস্টেশনের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চিন্তিত কৃষকরা। ফলে আসছে বর্ষায় আশপাশের ফসলি জমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালে শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে নুরপুর ও পূর্ব নোয়াগাঁওয়ের মধ্যবর্তী স্থানে পল্লী বিদ্যুতের নিজস্ব জমিতে সাব স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল। যার কাজ বর্তমানে প্রায় শেষের দিকে। এর জন্য খাল ভরাট করে সাব স্টেশন থেকে মহাসড়কে উঠতে করা হয়েছে সংযোগ রাস্তা। ফলে বন্ধ ৯-১০ মাস বন্ধ রয়েছে খালটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের পাশে অনেক উঁচু করে পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশন নির্মাণ হচ্ছে। সেখান থেকে মহাসড়কে উঠতে মাটি ফেলে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। তবে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় একজন কৃষক মো. মুন্না মিয়া গত ১৫ মার্চ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলামের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী নুরপুর গ্রামের মুন্না বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের জমির সামনের খাল বন্ধ করে দেয়ায় ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আমি বন্ধ হওয়া খাল খুলে দেয়ার দাবি জানাই। এতে করে অত্র অঞ্চলের অনেক কৃষক লোকসান থেকে রেহাই পাবে।’
এ বিষয়ে সাব স্টেশনের একজন ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের নিচ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেবে। এখানে পানি আসা যাওয়ার জন্য কালভার্ট ও করে দেয়ার চিন্তা করছেন তারা।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. মোতাহের হোসেন চৌধুরী জানান, সাব স্টেশন অনুমোদনের সময় প্রজেক্ট থেকে ডিজাইন করে কালর্ভাট করে দেয়ার জন্য ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে পানি জমাট হয়ে না থাকে।
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসজে/এএসএম