ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অহিংসার নিদর্শন ‘গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর’

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ১০:৫৫ এএম, ০১ মে ২০২১

মহাত্মা গান্ধীর অহিংস সমাজ ব্যবস্থার ধারণা সবার কাছে পৌঁছে দিতে ২০০০ সালের ২ অক্টোবর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গান্ধী আশ্রমের মূল ভবনে যাত্রা শুরু করে ‘গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর’।

এ জাদুঘরে গান্ধীর বিভিন্ন দুর্লভ ছবি, বই, ব্যবহার্য জিনিস এবং তার বৈচিত্র্যময় কর্মজীবন যে কারো মনোজগৎ নাড়িয়ে দিতে যথেষ্ঠ।

মাইজদী কোর্ট থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সোনামুড়ী উপজেলার জয়াগ বাজারের কাছে অবস্থিত মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক এ নিদর্শনটি।

প্রয়াত জমিদার ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষের বাড়িতে স্থাপিত গান্ধী আশ্রম নোয়াখালীর একটি সেবামূলক সংগঠন হিসেবে দেশব্যাপী সুনাম কুঁড়িয়েছে।

jagonews24

জানা যায়, ১৯৪৬ সালের শেষ দিকে শুরু হাওয়া ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প নোয়াখালীতেও ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর শান্তি মিশনের দূত হয়ে মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালীর চৌমুহনী রেল স্টেশনে পদার্পন করেন। সাম্প্রদায়িক মনোভাব দূর করার উদ্দেশ্যে ঘুরতে ঘুরতে ১৯৪৭ সালের ২৯ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধী জয়াগ গ্রামে পৌঁছান।

আর সেদিন নোয়াখালীর প্রথম ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষ তার সব সম্পত্তি গান্ধীজির আদর্শ প্রচার ও স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে আম্বিকা কালিগঙ্গা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং গান্ধী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৫ সালে ট্রাস্টের নাম পরিবর্তন করে ‘গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট’ রাখা হয়।

গান্ধী আশ্রম জাদুঘরটি প্রতি সপ্তাহের সোম থেকে শনিবার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্থানটি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অন্যতম একটি স্থান হিসেবে পরিচিত।

jagonews24

গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের পরিচালক রাহা নবকুমার জাগো নিউজকে জানান, গান্ধী স্মৃতি জাদুঘরের নতুন ভবন ও ভেতরের সৌন্দর্যের কাজ শেষ হয়েছে। করোনার কারণে তা এখনো বুঝে নেয়া হয়নি। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনটি চালু হলে দর্শনার্থীদের জন্য আরও উপভোগ্য হবে।

এ জাদুঘরে যেতে হলে মাইজদি এসে সেখান থেকে সোনাইমুড়ীগামী লোকাল বাস বা সিএনজি নিয়ে যাওয়া যায়।

রাত্রি যাপনের জন্য নোয়াখালীতে মাঝারি মানের কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। স্বল্প খরচে রাত্রি যাপনের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি আবাসিক হোটেলের সঙ্গে খাবারেরও হোটেল রয়েছে।

এএইচ/এমএস