ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মেয়ে ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় বাবাকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মারধর

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ২৯ মে ২০২১

মাদারীপুরের শিবচরে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোস্তাফিজুর রহমান নাসির নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চাওয়ায় উল্টো মারধরের শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

এ ঘটনায় শনিবার (২৯ মে) দুপুরে অভিযুক্ত নাসিরকে আটক করে পুলিশ।

মাদরাসাছাত্রীর স্বজনরা জানান, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় নামেন মোস্তাফিজুর রহমান নাসির। তিনি প্রচারণার অংশ হিসেবে দেড় মাসে আগে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গেলে নাসিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

২১ মে সকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন নাসির। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মাদরাসাছাত্রীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এলাকার মাতব্বরদের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো বিচার পায়নি ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবার। পরে বাধ্য হয়ে তারা আদালতে শরণাপন্ন হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত নাসির। সমাধানের কথা বলে কিশোরীর বাবাকে শনিবার সকালে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ডেকে মারধর করেন নাসির।

স্থানীয়রা বিষয়টি জেনে সদর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক মোস্তাফিজুর রহমান মুন্সী নাসির শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নে মৃজারচর গ্রামের সাহাবুদ্দিন মুন্সির ছেলে।

ভুক্তভোগীর কিশোরীর বাবা বলেন, ‘নাসির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে মাদারীপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। সেজন্য এলাকায় তার খুব প্রভাব। মাতব্বরদের কাছে বিচার চেয়েও পাইনি। উল্টো নাসিরের হাত মার খেতে হয়েছে।’

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবার এখনো থানায় আসেনি। সদর থানার ওসি অভিযুক্ত নাসিরকে আটকের কথা মোবাইলে জানিয়েছেন। নাসিরকে থানায় নিয়ে আসতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা হবে।’

এ কে এম নাসিরুল হক/এসজে/এমকেএইচ