ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কালকিনিতে আড়িয়াল খাঁর গর্ভে বিদ্যালয়-মসজিদ-সাইক্লোন শেল্টার

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০১:১৮ এএম, ৩১ মে ২০২১

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদারীপুরের কালকিনিতে আড়িয়াল খাঁ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ফসলের জমি, একটি মসজিদ, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন শেল্টার।

এছাড়া কয়েক বছরের নদীভাঙনে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। বর্তমানে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে শতাধিক পরিবার।

সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে আলীনগর এলাকার চর হোগলপাতিয়া গ্রাম। বর্তমানে এ গ্রামের ওপর দিয়েই বয়ে চলেছে আড়িয়াল খাঁ নদী।

গত দুইদিন আগে আড়িয়াল খার গর্ভে চরহোগলপাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি সাইক্লোন শেল্টার, প্রায় ১ কিলোমিটার জমির ধান, আঁখ ও পাটসহ বিভিন্ন প্রকার ফসলি জমি চলে গেছে। এছাড়া নদীতে ভেসে গেছে প্রায় ৫০টি বসতবাড়ি। প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে তাদের বসতবাড়ি দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে হোগলপাতিয়াসহ ৫টি গ্রামের সকল মানুষ নদীভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

গত বছর ভাঙন রোধে নদীতে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। তা নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ময়না ও রেনু খানমসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদী ঘড়বাড়ি, জায়গাজমি কেড়ে নিয়ে গেছে। ভাঙন রোধ না করা হলে বাকি যা আছে সব নদীতে চলে যাবে। গ্রামবাসী নদী ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে চায়। এছাড়া আমরা কোনো সাহায্য-সহযোগিতাও পাইনি।

কৃষক আলমগীর ও জলিলসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ফসলের সকল জমি নদীতে চলে গেছে। আমরা এখন কিভাবে বাঁচব? কৃষকের কান্নায় কারো কিছু আসে যায় না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, নদীভাঙনে চরহোগলপাতিয়া গ্রামের সব শেষ হয়ে গেছে। আমি চেষ্টা করছি ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন বলেন, আড়িয়াল খাঁর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে বহুবার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছি। তবে দুঃখের বিষয়, এখনও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করা হবে। আর বিদ্যালয় আবার নতুন জায়গায় উত্তোলন করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না।

এ কে এম নাসিরুল হক/এমএইচআর