হলুদের গুঁড়ায় আতপ চাল মরিচে ধানের গুঁড়া!
আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে বগুড়ার শেরপুরে ভেজাল মসলায় সয়লাব হয়ে গেছে বাজার। বিশেষ করে মরিচ ও হলুদে ভেজাল মেশানোর যেন মচ্ছব চলছে।
ইটের গুঁড়া ও ধানের কুড়ায় রঙ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মরিচের গুঁড়া। হলুদে মেশানো হয় ক্ষতিকর রঙ ও ঘাসের বীজ। দীর্ঘদিন থেকে এভাবেই ভেজাল হলুদ ও মরিচের গুঁড়া তৈরি ও বাজারজাত করছে একটি চক্র।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে শহরের বারোদুয়ারী হাটখোলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে তেমনি দুটি কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। কারখানার মালিকদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেই সঙ্গে ৫৭ কেজি ভেজাল হলুদ ও মরিচের গুঁড়া জব্দ করে পাশের করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভেজাল কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পৌরশহরের বারোদুয়ারি হাটখোলা এলাকায় গড়ে তোলা এনামুল হক ও আবুল কালাম আজাদের কারখানায় ভেজাল হলুদ ও মরিচের গুঁড়া তৈরি করা হচ্ছিল। আসল হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে ক্ষতিকর রঙ ও আতপচালের গুঁড়া এবং মরিচের সঙ্গে কখনো ইটের গুঁড়া আবার কখনো ধানের গুঁড়া ও রঙ দিয়ে ভারতের গোলমরিচের ঝাঁজ করে এসব ভেজাল পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
বিষয়টি গোপনে জানতে পেরে ওই দুই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় দুই কারখানা থেকে হাতেনাতে ভেজাল ও পচা মরিচ-হলুদ জব্দ করা হয়। পাশাপাশি ভেজাল কারবারি আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে ২০ হাজার ও এনামুল হকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া জব্দ করা ভেজাল মরিচ-হলুদের গুঁড়া নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন বলেন, এসব ভেজাল পণ্য খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এসআর/জিকেএস