ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

২০ মণের ‘রাজা’কে নিয়ে শঙ্কায় কাদের, দাম চাচ্ছেন ১২ লাখ

জেলা প্রতিনিধি | মাগুরা | প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ১৬ জুলাই ২০২১

ইজিবাইকচালক কাদের মোল্লা পরম যত্নে লাল-পালন করেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের বিশালাকার একটি ষাঁড়। যা এবারের কোরবানির ঈদে মাগুরার রামনগর দুর্গাপুরে সবচেয়ে বড় ষাঁড় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ষাঁড়টি দেখতে দূর থেকে কাদের মোল্লার বাড়িতে ভিড় করছেন মানুষ। তবে এখনো ক্রেতা না পাওয়ায় এটি বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

কাদের মোল্লা জানান, তিন বছর আগে রামনগর হাট থেকে শখের বসে ৩৯ হাজার টাকায় এক বছর বয়সী বাছুরটি কেনেন। এরপর থেকে নিজেরা খেয়ে না খেয়ে খাবার যুগিয়েছেন বাছুরটির।

গরুর মালিক কাদের দাবি করেন, এই তিন বছরে ষাঁড়টির ওজন হয়েছে প্রায় ২০ মণ। উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফিট। আর লম্বা সাড়ে সাত ফিট।

এখন কাদের চার বছর বয়সী ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন ১২ লাখ টাকা। তবে বাজার অনুপাতে সঠিক দাম পেলেই ষাঁড়টি বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।

কাদের জানান, শখ করেই বাছুর কিনেছিলেন তিনি। তার নাম দিয়েছিলেন ‘রাজা’। তার মতো গরিবের সংসারে রাজকীয় জাতের ষাঁড়টি বেড়ে ওঠার জন্য পরে ‘গরিবের রাজা’ নাম দেন। আর দেশিয় পদ্ধতিতেই ঘাস, গমের ভুসি, খুদ ইত্যাদি খাবার খাইয়েছেন ষাঁড়টিকে।

নিজের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে কাদের মোল্লা জানান, এ বছর ষাঁড়টি বিক্রি করে সন্তানের জন্য এক টুকরো জমি ও ঘর বানাতে চান। কিন্তু মহামারির কারণে গরুটি বিক্রির জন্য তেমন সাড়া পাচ্ছেন না। সবশেষে লকডাউনের কারণে ইজিবাইক বন্ধ থাকায় নিজের আয়ের পথও বন্ধ। অনেকের থেকে ধার-দেনা করে ‘রাজা’র খাবার জোগান দিচ্ছেন। কিন্তু এখনও ব্যাপারীরা না আসায় বিক্রির জন্য তেমন সাড়া পাচ্ছেন না। ঢাকায় বড় হাটে নিয়ে যাওয়ার সাধ্যিও নেই তার। ফলে তিনি তার স্বপ্ন পূরণ নিয়ে শঙ্কায় আছেন।

মাগুরা হতে কাদের মিয়ার ষাঁড় দেখতে আসা যুবক টুটুল জানান, মানুষের মুখে ষাঁড়টির গল্প শুনে দেখতে এসেছেন তিনি।

কাদের মোল্লার স্ত্রী শেফালী বেগম জানালেন, এই গরুটি তাদের একমাত্র সহায় সম্বল। তাদের দুইজনের স্বপ্ন রাজাকে বিক্রি করে একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এক টুকরো জমিতে নিজের বাড়ি তৈরি করে দিতে চান। সঙ্গে ছোট একটি গরুর খামার গড়ার স্বপ্নও দেখেন। তাই গরুটি যাতে চুরি না হয় সে জন্য গত বছর ইটের দেয়াল তুলে গোয়াল ঘর তৈরি করেছেন।

আরাফাত হোসেন/জেডএইচ/জিকেএস