দুই দিনেও ধরা যায়নি ফরিদপুরে জলাধারে আটকে পড়া সেই কুমির
ফরিদপুরের একটি জলাধারে আটকে পড়া মিঠাপানির কুমিরটি প্রায় এক সপ্তাহ সেখানে অবস্থান করছে। দুইদিন ধরে চেষ্টা করেও তাকে ধরতে পারেনি বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিরটি বর্তমানে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকায় জলিল মোল্লার ডাঙ্গি গ্রামে অবস্থান করছে। এ জলাধার এলাকা ‘ফালুর খাল’ হিসেবে পরিচিত। জলাধারটির দৈর্ঘ্য প্রায় এক হাজার মিটার ও প্রস্থ ৭৫ থেকে ১০০ মিটার। স্থানভেদে গভীরতা ৫-২০ মিটার পর্যন্ত। এটি মূল পদ্মা নদী থেকে ১০০ মিটার দূরে।
কুমিরটি ধরতে বুধবার (২৮ জুলাই) খুলনা থেকে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পালের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি দল এ অভিযান শুরু করে। ওইদিন দুপুর দেড়টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টার অভিযানেও ধরা সম্ভব হয়নি কুমিরটিকে। ওইদিনের জন্য অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বড় জাল জোগাড় হওয়া সাপেক্ষে শুক্রবার (৩০ জুলাই) আবার অভিযান শুরু করা হয়। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) কুমিরটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল বলেন, কুমিরটি বিরল প্রজাতির মিঠাপানির কুমির। এটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এর আগে ২০১৫ সালে মাগুরায় মধুমতী নদী থেকে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, অন্তত ২০ বছর আমাদের এ ধরনের উদ্ধার অভিযান করতে হয়নি। এজন্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী আমাদের জিম্মায় নেই। ছোট আকারের একটি জাল দিয়ে কুমিরটিকে বুধবার আটকিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু জালের প্রস্থ কম হওয়ায় কুমিরটি জাল থেকে বের হয়ে যায়। শুক্রবার আবার আটকের চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আটক করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ২৪ জুলাই সালাম খাঁর ডাঙ্গি গ্রামের হযরত মিয়া (২৪) পদ্মা নদী থেকে আনুমানিক চার কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরেন। মাছটির মুখে দড়ি বেঁধে ফালু খালের মধ্যে চুবিয়ে রাখেন। কিছুক্ষণ পর তিনি মাছটি তুলে আনার জন্য দড়ি ধরে টান দিলে কুমিরটি দেখতে পান।
এন কে বি নয়ন/এসআর/এএসএম