তিস্তার পানিতে তলিয়ে গেছে ডিমলার ১৭ হেক্টর জমির সবজি
অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ বন্যা দেখা দেয় কয়েকটি জেলায়। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে বিপৎসীমার ৩৩.২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় পানি। পরে বুধবার সন্ধ্যায় তা বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে।
পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই প্লাবিত হয় নীলফামারীর ছয়টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার তিস্তার পানি অনেকটাই কমেছে। তবে পানি কমলেও তিস্তা পাড়ের মানুষের শঙ্কা কাটেনি।

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কয়েক হেক্টর জমির ধান ও সবজি। ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকতা সেকান্দার আলী বলেন, ডিমলা উপজেলায় প্রায় ১৫.৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ও ১৭ হেক্টর জমির সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। যা তিস্তাপাড়ের মানুষের মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। আমাদের মাঠকর্মীরা সর্বদা মাঠে আছেন। তারা বিভিন্নভাবে স্থানীয় লোকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, আমরা ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টেপাখড়িবাড়ীতে নয় টন খাদ্য সহয়তা পেয়েছি। আমাদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এখন নদীর পানি অনেকটাই কমেছে। আমরা আশা করি, শিগগিরই স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসবে সব।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব হাসান বলেন, আমরা ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি মানুষদের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছি। জেলা প্রসাশকের কাছ থেকে ৪৯ টন খাদ্য ও ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছি, সেটি সুষমভাবে বিতরণ করেছি। বন্যাকবলিত এলাকায় আমাদের সাপোর্ট টিম কাজ করে যাচ্ছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকতা বলেন, নদীর পানি এখন কমে যাচ্ছে। দুপুর ১টায় বিপৎসীমার ৪৩.৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পানি।
ইউএইচ/জেআইএম