ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মহেশপুরে আ’লীগ-বিদ্রোহী সমানে সমান

জেলা প্রতিনিধি | ঝিনাইদহ | প্রকাশিত: ১১:৪০ এএম, ১২ নভেম্বর ২০২১

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ ও ছয়টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ফলাফল গণনা শেষে রাত ১০টা ২৫ মিনিটে এ তথ্য জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসার সৈয়দ আল ইমরান।

প্রাপ্ত ফলাফলে ১নং এসবিকে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফান হাসান চৌধরী লুথান আনারস প্রতীক বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকার শামীমা সুলতানা। ২নং ফতেপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকার সিরাজুল ইসলাম। ৩নং পান্তাপাড়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মাজহারুল হক স্বপন আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকার ইসমাইল হোসেন। ৪নং স্বরূপপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের মিজানুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবির।

৫নং শ্যামকুড় ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী জামিরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকার আমানুল্লাহ আমান। ৬নং নেপা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের শামছুল হক মৃধা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দলের বিদ্রোহী মনোয়ারুল হন মনু। ৭নং কাজিরবেড় ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইয়ানবী মোটরসাইকেল নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকার সেলিম রেজা। ৮নং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী নাজমুল হুদা ঝিন্টু চশমা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকেটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী নওশের মল্লিক।

৯নং যাদবপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের সালাউদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান। ১০নং নাটিমা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আবুল কাশেম মাস্টার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আজাদ রহমান। ১১ং মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আমিনুর রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিকটতম দলের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী শফিদুল ইসলাম। ১২নং আজমপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের শাহজাহান আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী শরিফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ১১৬ কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এসব কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য ৮১৩ জন পুলিশ, ১৯৭২ জন আনসার ও তিন প্লাটুন বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। সকালে ভোটারদের উপস্থিতি না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়তে থাকে। সকাল থেকেই গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান, নসিমন, করিমন, আলমসাধুসহ বিভিন্ন বাহনে করে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে থাকেন। তবে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/বিএ