পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত ৬
মাগুরা সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য আকিদুল ইসলামের সমর্থকদের পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থী মোশারফ শিকদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এতে কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া সংঘর্ষে দুইটি দোকান, ৭-৮টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের।
আহত ইব্রাহিম মোল্যা বলেন, টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোরশেদ শিকদার ও তার সর্মথকরা বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর রাতে আমাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। রাত ৯টার দিকে আমি আমার দোকানে বসে ছিলাম। এসময় ফুটবল প্রার্থীর সমর্থক মোফাজেল ও তার সঙ্গে আরও ৮-১০ জন অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এসময় তারা আমার ও আমার ভাইয়ের দোকান থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়, দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। আমার চিৎকারে স্বাধীন (১৫), রাজু মোল্যা (৫৫), শিফালী বেগম (৪৫) ও হোসনে আরা (২৫) এগিয়ে আসলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করে।
বিজয়ী সদস্য আকিদুল ইসলাম বলেন, আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোশারফ হোসেন পরাজিত হওয়ায় আমার সমার্থকদের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। নির্বাচনের দুইদিন আগে আমার সমার্থক রাজু মোল্যার সঙ্গে মোশারফ হোসেনের বড়ভাই মোফাজ্জেল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এর সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
পরাজিত প্রার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, নির্বাচনে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে বড়ভাই মোফাজেল হোসেনের সঙ্গে আকিদুল মেম্বারের সমর্থক রাজু মোল্যার বাগবিতণ্ডা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে মোফাজেল মাগুরা শহর থেকে বাড়ি আসার পথে রাজু মোল্যার দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ সময় কে বা কারা দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে তা জানা নাই।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মামুন হোসেন বিশ্বাস ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মিলন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় ইব্রাহীমের বড়ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
ইউএইচ/এএসএম