ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

৭৪ বছর পর ‘সুষ্ঠু ভোট’ দেখলেন নুর আলী

জেলা প্রতিনিধি | ঝিনাইদহ | প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২১

‘আমার যতদূর মনে পড়ে ১১ বছর বয়সে একবার সুষ্ঠু ভোট দেখেছিলাম। সেবার দলে দলে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিল মানুষ। কোনো রকম হাঙ্গামা বা মারামারি ছিল না। ৮৫ বছর বয়সে এসে আবার আজ সুষ্ঠু ভোট দেখলাম। এমন ভোট না হলে মানুষ খুশি হয় না। এবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে আমি খুশি।’

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কালীগঞ্জ উপজেলার ষাইটবাড়িয়া হুক্কুলহুদা আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা বৃদ্ধ নুর আলী।

রোববার (২৮ নভেম্বর) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল থেকে শীত উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসতে থাকেন ভোটাররা। তবে নারী ভোটারদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ দুই উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের ১৫৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল রাঢ়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ছয় মাসের সন্তান কোলে নিয়ে জীবনের প্রথম ভোট দিতে এসেছিলেন গৃহবধূ তানজিলা খাতুন। ভোট দিয়ে বের হয়ে জানান, জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে তিনি খুশি।

তানজিলা খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভোট দেওয়া নিয়ে আমি একটু চিন্তিত ছিলাম। কারণ বিগত ভোটে মারামারি হতে দেখেছি। কিন্তু আজ তেমন কোনো পরিবেশ তৈরি হতে দেখা যায়নি। সকাল থেকে পাড়া-মহল্লার মা-চাচিদের লাইন বেঁধে ভোট দিতে আসা দেখে আমিও আমার সন্তানকে কোলে নিয়ে ভোট দিতে এসেছি।’

ওই কেন্দ্রের পাশে অস্থায়ী খাবার দোকানে বসে কথা হয় পঞ্চাশোর্ধ্ব সবুর মিয়ার সঙ্গে। ভোট দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবারের নির্বাচন এতো সুষ্ঠু হবে ভাবতেও পারিনি। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরেছি।’

একটি নির্মাণাধীন স্কুলের সিঁড়ির পাশে জটলা বেঁধে নারীদের বসে থাকতে দেখা যায়। এখানে কী করেন জানতে চাইলে তারা বলেন, সকালে ভোট দিতে এসেছি। অনেকক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি আর ভালো লাগছে না। তাই একটু বসে আছি। তারা আরও বলেন, এবার এতো মানুষ ভোট দিতে আসবে ভাবতে পারিনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে বলে তারা জানান।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/জেআইএম