নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে একাট্টা তিন এমপি
নাটোর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইলেন স্থানীয় তিন সংসদ সদস্য।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিন সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থী উমা চৌধুরী জলির পক্ষে ভোটের মাঠে থাকার আহ্বান জানান।
এরা হলেন, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগরে সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং নাটোর-নওগাঁ (৩৪৩ ) আসনের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী রত্না আহমেদ।
সভায় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, নৌকাকে অবশ্যই জেতাতে হবে। নৌকা হারলে সবাই হারবে। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ যে বক্তব্য দিচ্ছেন জেলার অন্যান্য উপজেলার মতো সিংড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ এবং নাটোর পৌরসভায়ও কঠোর ভোটগ্রহণ হবে। প্রশাসনকে বলতে চাই এবার আমরাও কঠোর হবো।
আরেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, নির্বাচন আগের চাইতে অনেক কঠিন হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে নাটোর পৌরসভায় অবশ্যই নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে হবে। নৌকার বিরোধিতা করলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
শুধু তাই নয় শফিকুল ইসলাম শিমুলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি সভার ছবি পোস্ট করে লিখেন, ১৬ জানুয়ারি পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত নৌকা প্রতীকের বিজয়ের লক্ষে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা।

নাটোর-নওগাঁ আসনের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ বলেন, আমি নারীদের ও আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিটিং করে নৌকার পক্ষে ভোট চাইবো।
বর্ধিত সভা শেষে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সংসদ সদস্যদের ভোট চাওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের কাছে ভোট চাইতে বাধা নেই।
সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, দলীয় কার্যালয়ে সভা করার ক্ষেত্রে কোন বাঁধা নেই।
নারী সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন তা জানি। কিন্তু যেহেতু দলীয় মিটিং, সে কারণে আমাকেও থাকতে হয়েছে।
এ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী উমা চৌধুরী জলি নিজেও উপস্থিত থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের ভোট এবং সহযোগিতা চান।
এ বিষয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, যেহেতু তফসিল ঘোষণা হয়েছে। সে কারণে পৌর এলাকার মধ্যে অবস্থিত অফিসে সংসদ সদস্যরা এমন বক্তব্য দিলে এবং ভোট চাইলে অবশ্যই তা আচরণবিধির লঙ্ঘন হবে। এমন ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে। তখন এমন ঘটনা ঘটলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সরাসরি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
নাটোর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নাটোরের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কোনো সংসদ সদস্য নির্বাচনী এলাকার ভেতরে সভায় ভোট চাইতে পারবেন না। এটা করে থাকলে তারা নির্বাচনী আরচণবিধি লঙ্ঘন করবেন। এমন কোনো অভিযোগ বা কোন প্রকার সংবাদ পাওয়া যায় তবে প্রার্থী বা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেজাউল করিম রেজা/এসজে/জিকেএস