লটারিতে টিকেও ভর্তি অনিশ্চিত নাটোরের ৫৪ শিক্ষার্থীর
লটারিতে টিকেও ভর্তি হতে পারছে না দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৪ শিক্ষার্থী
লটারিতে টিকেও বয়স কম হওয়ায় নাটোরের দুটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না ৫৪ শিক্ষার্থী। এতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদের মধ্যে নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ২৬ জন ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একই শ্রেণির ২৮ শিক্ষার্থীর ভর্তির অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শহরের দুটি বিদ্যালয়ের ১২০ জন করে শিশু শিক্ষার্থী লটারির মাধ্যমে বাছাই করে। গত ১৫ ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পরে ১৮ ডিসেম্বর ও ১৯ ডিসেম্বর নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচিতদের ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে ভর্তি হতে বলা হয়। বিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম নিতে গিয়ে প্রায় ২৮ জন অভিভাবক জানতে পারেন তাদের সন্তানের বয়স আট বছর পূর্ণ না হওয়ায় ভর্তি ফরম দেওয়া হবে না।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, সরকারের দেওয়া নীতিমালায় তাদের বয়স আট বছর না হওয়ায় ভর্তি নেওয়ার সুযোগ নেই। এদের মধ্যে ১৭ জন অভিভাবক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছেন।
অপরদিকে নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৬ শিক্ষার্থীর বয়সও কম হওয়ায় তাদেরও ভর্তির অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে আট বছরের কম বয়সের কাউকে ভর্তি নেওয়া হবে না।
অভিভাবকরা বলছেন, এসব শিশুদের আট বছর থেকে একদিন, দুইদিন বা এক সপ্তাহ কম। তবুও তাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। ভর্তি যদি না নেওয়া হয় তাহলে তাদের নির্বাচিত করা হলো কেন? লটারির সময় কম বয়সীদের বাদ দিলেই কারো কোনো আপত্তি ছিল না।
নাটোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আখতার হোসেন জানান, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে দ্রুত কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে।
রেজাউল করিম রেজা/আরএইচ/এএসএম