নৌকার এজেন্টকে বাধা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রত্যাহার
সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা লিপি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিচ্ছে কি না তা দেখতে বাধা দেওয়ায় ফেরদৌস আরা লিপি নামের এক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আয়মা-রসুলপুর হাজী মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তিনি পাঁচবিবির দিবাকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ফেরদৌস আরা লিপি জানান, ওই কেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলাম। কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যালট খুলে দেখে নেওয়ার সময় তিনি এক ব্যক্তিকে বাধা দেন। পরে তিনি জেনেছেন ওই ব্যক্তি নৌকার এজেন্ট। কিছুক্ষণ পর একজন অন্ধ ব্যক্তি ওই কক্ষে ভোট দিতে এলে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে তাকে ভোট প্রদানে সহযোগিতা করেন। এ সময় বাধা দেওয়া ওই ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সিল মারার অভিযোগ তুলে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। পরে নৌকার প্রার্থী জাহিদুল আলম বেনু অভিযোগ করার পর ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর নবীর নির্দেশে ভোট চলাকালীন তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
আয়মা-রসুলপুর ইউনিয়নের নৌকা মার্কার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদুল আলম বেনু বলেন, ‘ফেরদৌস আরা লিপি প্রতিপক্ষের আনারস মার্কায় ভোট দিতে সহযোগিতা করছেন। প্রতিবাদ করায় তিনি আমার এজেন্টকে বের করে দিয়েছেন। এজন্য তাকে প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।’
অন্যদিকে ফেরদৌস আরা লিপি বলেন, ‘কে নৌকার লোক আর কে আনারস মার্কার লোক আমি চিনি না। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় এক নম্বর কক্ষে এক ব্যক্তি ব্যালট খুলে দেখার দৃশ্য দেখে আমি তাকে বাধা দিয়েছি। এটাই আমার অপরাধ।’
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা লিপির বিরুদ্ধে ভোট প্রদানে অক্ষম ভোটারদের হয়ে আনারস মার্কায় সিল মারার অভিযোগ করেন নৌকার প্রার্থী জাহিদুল আলম বেনু।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর নবী বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে ফেরদৌস আরা লিপিকে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
রাশেদুজ্জামান/আরএইচ/এএসএম