ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শিশু পরিবারেই ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম!

জেলা প্রতিনিধি | ঝালকাঠি | প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২২

ঝালকাঠি জেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি চেয়ার দুই শিশু মাথায় করে নিয়ে আসছে। এরমধ্যে একজন কিশোর হলেও অপরজন শিশু। চেয়ার বহন করতে দুজনেরই খুব কষ্ট হচ্ছে। এমন একটা ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিভিন্ন জন নেতিবাচক বিভিন্ন মন্তব্যও করছেন।

তবে ছবিতে যে দুজন চেয়ার বহন করছে তারাই যে শিশু পরিবারের সদস্য তা নিশ্চিত করেছেন সরকারি শিশু পরিবারের উপতত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।

তিনি জানান, ২ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় সমাজ সেবা দিবস গেছে। করোনা মহামারির কারণে সরকারি শিশু পরিবারের মধ্যেই অভ্যান্তরীণভাবে দিবসটি পালন করা হয়। যেখানে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এমপি প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহপার পারভীন সভাপতিত্ব করেন।

তিনি বলেন, ওই সময় অতিথিদের আসন গ্রহণের জন্য জেলা অফিস থেকে শিশু পরিবারের ছাত্রদের দ্বারাই চেয়ার নেওয়া হয়েছে। কোন বয়সের শিশুদের দিয়ে কোন কাজ করানো যাবে সে ব্যাপারে আমাদের নীতিমালা আছে, সে অনুযায়ীই কাজ করানো হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অপরদিকে ঝালকাঠি জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশ সংলগ্ন ঝালকাঠি চাঁদকাঠি এলাকায় অবস্থিত। যেখান থেকে সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের মাধ্যমে মালামাল আনা-নেওয়া করানো হয়। ৫০ গজেরও বেশি দূরত্বে এ মহাসড়কেই পায়ে হেঁটে মাথায় বা হাতে বোঝা নিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রতিদিন ওই মহাসড়ক দিয়ে দূরপাল্লার পরিবহন, মালবাহী ট্রাকসহ কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। হতে পারে জীবহানির মতোও বিপদ।

অপরদিকে শিশুদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানোর ফলে একাধিক ছাত্রের শরীরে রয়েছে কাটা জখমও। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ায় তাদের পায়ে রয়েছে এখনও ব্যান্ডেজ। তবে ছাত্ররা তাদের বসবাসের কথা চিন্তা করে মুখ খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।

ছাত্রদের জখমের ব্যাপারে উপতত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, কৃষিক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে কাঁচে একটি শিশুর পা কেটে গেছে। অভ্যন্তরীণ কাজকর্ম বসবাসরত শিশুদের মধ্যে যার যেমন বয়স তাকে দিয়ে তেমন কাজ করানো হচ্ছে। যা আমাদের নীতিমালা অনুসরণ করে।

আতিকুর রহমান/এফএ/জেআইএম