ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অনুমোদন ছাড়াই মুদিদোকানে বিক্রি হচ্ছে সার-কীটনাশক

জেলা প্রতিনিধি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৯:২০ পিএম, ০২ মার্চ ২০২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নে মুদিদোকানে অবৈধভাবে কীটনাশক সার, বীজ ও বিষ বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে প্রকৃত সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

স্থানীয়রা বলছেন, এ বাজারে গত তিন-চার বছর থেকেই মুদিদোকানগুলো অবৈধভাবে সার-বিষ বিক্রি করে আসছে। তবে দুর্গম চর এলাকা হওয়ায় বিষয়টি প্রশাসনের চোখে পড়ছে না।

বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে ইউনিয়নের বিশরশিয়া বাজারে গিয়ে জানা যায়- স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (৩৫), মকবুলের ছেলে রকিব (৩০), রোশদুলের ছেলে অফিজুল (৪০), মুখলেসুরের ছেলে গোলাপ (৪৫), নুরশেদের ছেলে কবির (৪০), নুরশেদের ছেলে শাহাজাহান (৩০), আফসার আলীর ছেলে নাইনুল (৩২), মোশারফের ছেলে কাউসার (৩০), একই এলাকার আওয়াল (২৫), শ্যামপুর গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে বোদ (৩১), হলদিপাড়ার গুগড় আলীর ছেলে বাবলু (৫০) ও কালু আলীসহ বেশকিছু ব্যবসায়ী মুদিদোকানের আড়ালে অবৈধভাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিক্রি করে আসছেন।

এতে স্থানীয় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা ব্যবসা করার জন্য সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার লাভে অবৈধভাবে কীটনাশক সার-বীজ বিক্রি করছে। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

গোলাপ ও কবিরসহ বেশ কয়েকজন মুদিদোকানিরা সার-কীটনাশক বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জাগো নিউজকে বলেন, লাইসেন্স ছাড়া যদি কেউ কীটনাশক সার-বীজ বিক্রয় করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, কীটনাশক বিক্রির জন্য অবশ্যই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে লাইসেন্স নেওয়া লাগে। তবে কেউ যদি লাইসেন্স না নিয়ে কীটনাশক বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম জাগো নিউজকে বলেন, বিষটি আমার জানা নেই। তবে দ্রুত খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সোহান মাহমুদ/এসজে/জিকেএস