চৈত্র মাসেও মিলছে পাকা আম, কেজি ৫০০
বিভিন্ন জাতের আম পসরা নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ী
আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুদিনব্যাপী চলছে আম সম্মেলন। জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়ামে চলা এ সম্মেলনে চৈত্র মাসেও মিলছে আম।
এ মাসে মূলত আমের গাছে মুকুল থাকার কথা। তবে জেলার কিছু ব্যতিক্রমী ব্যবসায়ীর আয়োজনে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের বারোমাসি আম। তবে দাম বেশ চড়া। জাত ভেদে প্রতি কেজি ৪০০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই কিনতে হিমসিম খাচ্ছেন অনেক ক্রেতা।

বুধবার (৩০ মার্চ) বিকেলে আম সম্মেলনে গিয়ে দেখা যায়, সম্মেলনে ৭৫টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে দুই থেকে তিনটি স্টলে বারি-৪ বারি-১১ ও কাটিমনসহ কয়েক জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে।
আম বিক্রেতা নবীন বলেন, আমি গত ৫ বছর ধরে আমের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সিজনাল আমের দাম কমে যাওয়ায় ৩০ বিঘা জমিতে বারোমাসি আম বাগান গড়ে তুলেছি। গত দুদিন আগে আম সম্মেলনের খবর পাই। এ জন্য সম্মেলনে আম বিক্রি করতে এসেছি। গতকাল ৩০ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছি। আজ এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার টাকার আম বিক্রি হয়েছে। আশা করছি আজ ৪০ হাজার টাকার আম বিক্রি করতে পারবো।

আরেক বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, সকাল থেকে পাঁচ কেজি আম বিক্রি করেছি। আমের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কম কিনছেন। তবে গতকাল ৩০ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছি। আমার কাছে মূলত বারি-১১, গোল্ডেন ম্যাংগো ও কাটিমন আম রয়েছে।
আম ক্রয় করতে আসা নাজমুল বলেন, আমি গতকাল আম সম্মেলনে এসেছিলাম। এখানে আম বিক্রি করতে দেখে ২৫০ টাকা দিয়ে ৫০০ গ্রাম আম কিনেছিলাম। বাড়ি গিয়ে খেয়ে দেখি এ আম অনেক সুস্বাদু। তাই আজকে ফের এককেজি আম কিনলাম ৫০০ টাকা দিয়ে। তবে আমের দামটা অনেক বেশি। একটু কম হলে আরও বেশি করে কিনতে পারতাম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আম ব্যবসায়ীরা দাম না পেয়ে লোকসানের মুখে পড়েছে। তাই বারোমাসি আম চাষ করেছেন অনেকেই। এ আমগুলোই মূলত হাট-বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ জেলায় বারোমাসি আমের বাগান রয়েছে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে।
সোহান মাহমুদ/এসজে/এএসএম