ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাদারীপুরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৮০ ভাগই শিশু, হাসপাতালে শয্যা সংকট

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২২

মাদারীপুরে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে জেলা সদর হাসপাতালেই ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন আড়াইশ রোগী। যার ৮০ ভাগই শিশু।

অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় খাবার খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধোঁয়াসহ তরলজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।

সংশি­ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে ক্রমে বেড়েই চলেছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলা সদর হাসপাতালে সমান তালে আসছেন রোগীরা। প্রতিদিন গড়ে সেবা নিচ্ছেন অর্ধশত রোগী। ভর্তি হচ্ছেন ৩০ জনেরও বেশি।

jagonews24

গত এক সপ্তাহেই চিকিৎসা নিয়েছেন আড়াইশ রোগী। যার বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। রোগীর তুলনায় হাসপাতালের আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় মেঝেতে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। একদিকে গরমের অসহ্য যন্ত্রণা, অন্যদিকে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় পর্যাপ্ত সেবা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে মাত্র একজন নার্স কর্মরত রয়েছেন। আর ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর জন্য শয্যা সংখ্যা মাত্র ছয়টি। দুই বছর আগে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। জনবল সংকটে এটিও চালু করা যাচ্ছে না। হাসপাতালটি চালু হলে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন রোগী, স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

jagonews24

মাদারীপুর পৌরসভার সৈয়দারবালী এলাকার গৃহিণী রিনা মালো বলেন, ‘ছেলে অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে আসি। বেড না পাওয়ায় ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছি। হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি শয্যা সংখ্যাও বাড়ানো দরকার।’

কাজীরটেক ফেরিঘাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধ আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। তাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু হাসপাতালের নিচে থেকেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। মাত্র একজন নার্স সবসময় সেবা দিচ্ছে।’

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সুচিত্রা বাগচী বলেন, ‘অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে নাজেহাল অবস্থা। জরুরিভিক্তিতে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া দরকার।’

jagonews24

তিনি বলেন, একসঙ্গে অনেক রোগী এলে চিকিৎসা দিতে কষ্ট হয়। তবুও আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনির আহম্মেদ খান বরেন, পচা-বাসি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও ডায়রিয়া বেড়েছে। শিশুদের প্রতি বাবা-মায়ের পর্যাপ্ত খেয়াল রাখতে হবে।

একে এম নাসিরুল হক/এসআর/এএসএম