ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হোটেল বুকিংয়ে তেমন সাড়া নেই বান্দরবানে

জেলা প্রতিনিধি | বান্দরবান | প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২২

বছরজুড়েই ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা থাকে পাহাড়কন্যা খ্যাত পর্যটননগরী বান্দরবান পার্বত্য জেলায়। তবে সরকারি বিশেষ ছুটির দিনে পর্যটকদের এই আগমন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না আশা করছেন পর্যটন ব্যাবসায়ীরা।

তারা জানাচ্ছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে অধিকাংশ আবাসিক হোটেলে ৩০ শতাংশ এবং কিছু হোটেলে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কক্ষ আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা। এছাড়া মে মাসের ৩ ও ৪ তারিখ ঢাকা থেকে বান্দরবান এবং ৬ ও ৭ তারিখ বান্দরবান থেকে ঢাকা যাওয়ার কোনো সিট খালি নেই বলে জানিয়েছেন বান্দরবান গণপরিবহন টিকিট কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) হোটেল ও গণপরিবহন ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

jagonews24

বান্দরবানের আবাসিক হোটেলগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী মে মাসে প্রায় টানা ৯ দিন সরকারি ছুটি থাকায় ভ্রমণপিপাসুরা এসব হোটেল-মোটেলের কক্ষ আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছেন।

জেলার হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালি, হোটেল নাইট হেভেন, হোটেল হিল ভিউ, হোটেল ডি’মোর, হোটেল গ্রিন ল্যান্ড, হোটেল গার্ডেন সিটি ও হোটেল স্কাই ব্লু’র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। তবে মে মাসের ৪, ৫, ৬ ও ৭ তারিখের দিকে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

jagonews24

হোটেল নাইট হেভেনের ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, অন্যবার এমন সময়ে হোটেল কক্ষ আগাম বরাদ্ধ নেওয়ার হিড়িক থাকে। এবার প্রেক্ষাপট অনেকটাই ভিন্ন। এ পর্যন্ত হোটেলের মাত্র ২০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বরাদ্দ নিয়েছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা। তবে ঈদের পরে আশানুরূপ পর্যটক আসবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

হোটেল গার্ডেন সিটির দায়িত্বে থাকা মো. আরমান জানান, মে মাসের টানা ছুটি উপলক্ষে এ পর্যন্ত তাদের হোটেলের ৭০ শতাংশ কক্ষ অগাম বরাদ্দ নিয়েছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা।

হোটেল হিল ভিউয়ের জি এম রিয়াজ জানান, প্রত্যাশা অনুযায়ী হোটেলকক্ষ আগাম বরাদ্দ নেননি বান্দরবান ভ্রমণপ্রত্যাশীরা। আজ পর্যন্ত তাদের কেবল ২০ শতাংশ হোটেল কক্ষ বরাদ্দ হয়েছে।

jagonews24

গ্রিনপিক রিসোর্টের হিসাব শাখার আবুল কালাম জানান, তাদের রিসোর্টের কক্ষগুলো অন্যান্য হোটেলের কক্ষ থেকে ব্যতিক্রম। কটেজ আকারে তাদের কক্ষগুলো। মে মাসের ৫, ৬ ও ৭ তারিখের জন্য রিসোর্টের ৭০ শতাংশের অধিক কক্ষ অগ্রিম বরাদ্দ নিয়ে রেখেছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা।

সেন্টমার্টিন পরিবহন টিকিট কাউন্টারের খলিলুর রহমান, সৌদিয়া পরিবহনের মো. রাইহান, শ্যামলী পরিবহনের হামিদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, বর্তমান সিডিউল অনুযায়ী বান্দরবান থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী তাদের পরিবহনগুলোতে আগামী ৩ ও ৪ মে ঢাকা থেকে বান্দরবান এবং ৬ ও ৭ মে বান্দরবান থেকে ঢাকাগামী সব পরিবহনের আগাম সিট বুকিং করে রেখেছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা।

jagonews24

বান্দরবান আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বান্দরবানে পাঁচ হাজারের অধিক পর্যটক ধারণক্ষমতা রয়েছে। টানা ছুটির কারণে এরইমধ্যে জেলার হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে রেখেছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা। এছাড়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে যাতে বেশি রুম ভাড়া নিতে না পারে সেজন্য মনিটরিং টিম পরিচালনা করা হবে।

বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতর ও টানা ছুটিতে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বান্দরবান জেলা টুরিস্ট পুলিশ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

নয়ন চক্রবর্তী/এমআরআর/এসআর/এএসএম