বৈরী আবহাওয়াতেও সৈকতে মেতেছেন পর্যটকরা
বৈরী আবহাওয়াতেও ঢেউয়ের তালে মেতেছেন পর্যটকরা
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে জেলার কলাপাড়া উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপজেলায় ৯০ মিলিমিটারে বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। বৃষ্টি এবং সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ উপভোগে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

এমন পরিস্থিতিতে নিরাপদে থাকতে বারবার মাইকিং করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে ঢেউয়ের তালে দিনভর মেতেছেন হাজারো পর্যটক। সন্ধ্যায়ও সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গেছে।
লালমনিরহাট থেকে আগত পর্যটক ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘বন্ধুদের নিয়ে গোসলে নেমেছি। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে ঢেউ, বেশ আনন্দ করেছি। তবে পুলিশ বারবার মাইকিং করায় বেশি দূরে যাইনি।’

খুলনা থেকে আগত রাহুল বলেন, ‘সকালে কুয়াকাটায় এসেছি। তবে আসার পরেই আবহাওয়া খারাপ। ভালো হলে থাকবো, নয়তো মঙ্গলবার চলে যাবো।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে বলেন, ঈদ পরবর্তী সময় হওয়ায় কুয়াকাটায় এখনো অনেক পর্যটক অবস্থান করছেন। তাদের নিরাপদে রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, পর্যটন ব্যবসায়ী ও টোয়াক যৌথভাবে কাজ করছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র কিছুটা উত্তাল। তাই পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছি। যারা সাঁতার না জানে তাদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করছি। যদি আবহাওয়া আরও বেশি খারাপ হয়, তাহলে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সৈকতে গোসল করা বন্ধ করে দিবো।

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জাগো নিউজকে বলেন, আজ সকাল থেকে কলাপাড়ায় ৯০ মিলিমিটারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি আগামী পাঁচদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সব ট্রলার ও নৌকাকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/এএসএম