মৌলভীবাজারে বেড়েছে গরু চুরি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ১০ দিনের ব্যাবধানে ১৩টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হওয়া গরুগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দাবি করেছেন।

রোববার (১৫ মে) কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রামের পাশাপাশি দু’টি বাড়ি থেকে একই রাতে ৬টি গরু এবং ৬ মে (শুক্রবার) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রাম এবং পতনঊষার ইউনিয়নের দরগাহপুর গ্রামের বখসের বাড়ি থেকে ৭টি গরু চুরি হয়।

জানা গেছে, ১৫ মে দিবাগত রাতে উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রামের পাশাপাশি দু’টি বাড়ি থেকে একই রাতে ৬টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে।

গরুর মালিক জমসেদ মিয়া ও ফজলুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, রাতে তাদের পৃথক বাড়ির গোয়াল ঘরে গরুগুলো বাঁধা ছিল। সোমবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাদের গোয়াল ঘর থেকে গরুগুলো চুরি হয়ে গেছে।

জমসেদ মিয়ার বড় আকারের ২টি গরু ও ফজলুর রহমানের ছোটবড় ৪টি গরু চুরি হয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা হবে। গরু চুরি যাওয়ার ঘটনায় ফজলুর রহমানের ভাই আজাদুর রহমান কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।

এদিকে গত ৬ মে দিবাগত রাতে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের দরগাহপুর গ্রামের নিজামুল বখস ও তার চাচা মুমিন বখস’র বাড়ি থেকে একই রাতে ৭টি গরু চুরি হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত নিজামুল বখস ও তার চাচা মুমিন বখস জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের চুরি হওয়া গরুগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা হবে। গরু চুরি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘটনার পরদিন তারা শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, অনেক আশা ভরসা নিয়ে আমরা গরু পালন করি। কিন্তু পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না।

শমসের নগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, চুরির ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জাগো নিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্তের জন্য এসআই হারুনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আব্দুল আজিজ/এফএ/জেআইএম