ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সুনামগঞ্জে ফের বন্যার শঙ্কা

জেলা প্রতিনিধি | সুনামগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৬:৫৬ পিএম, ১৩ জুন ২০২২

টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

jagonews24

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, বৌলাই, রক্তি নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার (১৩ জুন) বিকেল ৪টার দিকে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

jagonews24

সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বর্ষার শুরুতেই দ্বিতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে পৌর শহরের উত্তর আরপিন নগর, বড়পাড়া, সাহেববাড়ি ঘাট, পুরানপাড়ার রাস্তাঘাট ঢলের পানিতে ডুবে গেছে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপজেলা পরিষদ, ফতেপুর ইউনিয়ন, দক্ষিণ বাধাঘাটসহ দুই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি উর রহিম জাদিদ।

jagonews24

উজানের ঢলে তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর সড়ক ডুবে গিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মুক্তিখলা গ্রামের বাসিন্দা আলী হায়দার জাগো নিউজকে বলেন, ‘একবার বন্যায় এসে ঘরবাড়ি তছনছ করে দিয়েছে। কোনোরকম ঘর পুনরায় নির্মাণ করেছি। আবারও বন্যার পানি ঘরে ঢুকেছে। এখন তো আমাদের মরা-বাঁচা সমান।’

jagonews24

তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুরের ব্যবসায়ী রাহি মিয়া বলেন, ‘বন্যার পানিতে আনোয়ারপুরের সড়ক ডুবে গেছে। সুনামগঞ্জ শহরের সঙ্গে উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। আমরা খুব ভোগান্তিতে পড়েছি।’

jagonews24

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে সুনামগঞ্জ ও ভারতের মেঘালয়ে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সুনামগঞ্জের সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

jagonews24

জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এরই মধ্যে ২০ মেট্রিক টন করে ১২টি উপজেলায় খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

লিপসন আহমেদ/এসআর/এমএস