‘জিতলে কিছু চাই না, শুধু আমার মতো গরিবের খোঁজ রাখলেই হইবো’
হুইল চেয়ারে করে এসে ভোট দেন ভিক্ষুক লালমিয়া
পেশায় ভিক্ষুক লালমিয়া (৫৫)। চলাফেরা করেন হুইল চেয়ারে। পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী দেখতে চান তিনি। এজন্য হুইল চেয়ারে এসেছেন ভোট দিতে। সঙ্গে স্ত্রীকেও এনেছেন।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটধলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসে লালমিয়া ও তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম ভোট দেন। তিনি ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
লালমিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেরা আয়-রোজগার করলেও তার ও তার স্ত্রীর কোনো খোঁজ রাখে না। বর্তমানে তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মেয়ে আরজু বেগমের একটি ঘরে থাকেন। দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজারে একা একা হুইল চেহার চালিয়ে ভিক্ষা করেন।

লালমিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভোট আইছে, তাই এহন ভোট দিতে আইছি। পছন্দের চেয়ারম্যান ও মেম্বারপ্রার্থীকে ভোট দিছি। তারা ভোটে জিতলে কিছু চাই না; শুধু আমার মতো গরিবের খোঁজখবর রাখলেই হইবো।’
প্রায় ১৫ বছর আগে লালমিয়ার পায়ে একটি মরা সাপের কাঁটা ঢুকে যায়। এরপর গ্রামে বিভিন্ন চিকিৎসকের ওষুধ খেয়েও কোনো লাভ হয়নি। পরে ভোলা, বরিশাল ও ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করিয়েছেন। তারপরও সুস্থ না হওয়ায় অস্ত্রোপচার করিয়ে দুই পা কেটে ফেলা হয়।

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘লালমিয়া ভোটকেন্দ্রে এলে আমরা সবাই তাকে সহযোগিতা করেছি। তিনি সুন্দরমতো ভোট দিয়েছেন।’
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/জিকেএস