স্কুলছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা, গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গণপিটুনিতে নিহত রাসেল শেখ
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত রাসেল শেখ (২৫) মারা গেছেন।
বুধবার (১৫ জুন) সকালে ঢাকায় চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মঞ্জুরুল জোয়াদ্দার ও রাজু মৃধা নামে আরও দুই যুবক আহত হয়েছেন। নিহত রাসেল একই উপজেলার বরিশাট গ্রামের জলিল শেখের ছেলে।
স্কুলছাত্রীর মা বলেন, বরিশাট গ্রামের আজাদ আলী জোয়াদ্দারের ছেলে মঞ্জুরুল আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। যার ফলে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। আজ (বুধবার) আমার মেয়ের বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মঞ্জুরুল তার সহযোগী রাসেল শেখ, রাজু মৃধা, লিমন মৃধা ও সিয়াম উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
নিহত রাসেলের চাচা আলী হাসান বলেন, আমার ভাতিজা রাসেলের বন্ধু মঞ্জুরুলের সঙ্গে ছোনগাছা গ্রামের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আজ মেয়েটির বিয়ে হবে এমন খবরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মঞ্জুরুলের সঙ্গে রাসেলসহ আরও কয়েকজন মেয়েটির বাড়িতে যায়। এসময় মেয়েটির পরিবারের লোকজন তাদের ধরে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে চিকিৎসাধীন রাসেলের মৃত্যু হয়। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
মাগুরার শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছোনগাছা গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমঘটিত কারণে কয়েকজন যুবক জোর করে তুলে আনার চেষ্টা করে। ছাত্রীর মায়ের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদের ধরে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। পরে খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে রাসেল শেখের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বেলা ১১টায় রাসেলের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে রাসেলের মরদেহ নিয়ে স্বজনরা ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এমআরআর/এএসএম