ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পাহাড়ি ঢলে ভাসছে শেরপুর

জেলা প্রতিনিধি | শেরপুর | প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ১৭ জুন ২০২২

ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় শেরপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের অন্তত ৩০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এসব এলাকার রামেরকুড়া, দিঘীর পাড়, চতলের বেড়িবাঁধ ভেঙে আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে প্রবল স্রোতে পানি প্রবেশ করছে।

jagonews24

পানির তোড়ে শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে রামেরকুড়া বাঁধের সঙ্গে চার বাড়ি ও দুটি মুরগির খামার ভেসে গেছে। সেইসঙ্গে ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির মানুষ পানিবন্দি হয়ে আটকে পড়েছেন। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নদ-নদীর পানি বেড়েছে। শুক্রবার জেলা সদরে ৮৫ ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীর পানি বাড়ায় নদীর আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

অন্যদিকে ঝিনাইগাতীর মহারশী নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে নিম্নাঞ্চলে ফের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে আতংকে রয়েছেন স্থানীয়রা।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে দ্রুত সহায়তা দেওয়া শুরু হবে।

jagonews24

এদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জরুরি ভিত্তিতে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সভা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভায় সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী, এনজিও, সুশীল সমাজ, স্কাউট, রেডক্রিসেন্টসহ সবাইকে বন্যা মোকাবিলায় সর্বাত্মক আহ্বান জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার জানান, বন্যা পরিস্থিতিতে সব দপ্তরপ্রধানদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। উপজেলাগুলোতে জিআর চাল, নগদ অর্থ, শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ।

ইমরান হাসান রাব্বী/এসআর/জিকেএস