গাইবান্ধায় বাড়ছে নদ-নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে। উজানের ঢল আর ভারী বর্ষণে করতোয়, তিস্তা, ব্রক্ষ্মপুত্র, যমুনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া পানি বাড়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বন্যা আতঙ্কে দিন কাটছে নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের। সেইসঙ্গে দুইদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কর্মজীবী লোকজন কাজে যেতে পারছেন না। ফলে চরম বিপদে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে পানি বাড়লে শনিবার রাতেই জেলার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।

নদীর পানি বাড়ায় জেলার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, নবাবগঞ্জ, কিশামত, কাপাশিয়া, সাঘাটার মুন্সীরহাট, ফুলছড়িসহ কয়েকটি এলাকা ভাঙনের মুখে পড়েছে। নদীতে বিলীন হচ্ছে এসব এলাকার ভিটামাটি, গাছপালা, ফসলি জমি। চোখের সামনে সব নদীতে বিলীন হলেও কিছুই করতে পারছেন না নদীপাড়ের বাসিন্দারা। হতাশায় দিন কাটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্রক্ষ্ণপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৯ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে গাইবান্ধা সদর পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি শূন্য দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২১ দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, করতোয়া নদীর পানি শূন্য দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে ১৮ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার বেড়ে ২৮ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান মুঠোফোনে বলেন, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে তার কিছুকিছু এলাকায় জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ হাতে নিয়েছি। এরইমধ্যে অনেক জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তবে যেভাবে নদ-নদীর পানি বাড়ছে দুই-একদিনের মধ্যেই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
রফিকুল ইসলাম রফিক/এমআরআর/জিকেএস