নৌকার আদলে মোটরসাইকেল সাজিয়ে মাগুরা থেকে মাওয়ায় শহর আলী
পদ্মা সেতুর উদ্ধোধনকে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বাসে ভাসছে সারাদেশ। সেই উচ্ছ্বাস থেকে বাদ যাননি মাগুরার শালিখা থানার সরুসোনা এলাকার বাসিন্দা শেখ শহর আলী। নিজের মোটরসাইকেলকে নৌকার আদলে সাজিয়ে ১৪৫ কিলোমিটার এলাকা থেকে ছুটে এসেছেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নিতে দীর্ঘ পথ ছুটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় এসেছেন শহর আলী। তবে বাস কিংবা অন্য কোনো গাড়িতে করে নয়, মোটরসাইকেল চালিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে গানও লিখেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে মাওয়া সুধী সমাবেশস্থলে দেখা হয় শহর আলীর সঙ্গে।

শহর আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ভোরের দিকে রওনা দিছি। বিকেল ৩টায় এখানে পৌঁছাইছি। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতেই এখানে আসা। আমি একজন শিল্পী। তাই প্রধানমন্ত্রী ও পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গানও লিখেছি।’
জনসভা শেষে আবার নিজ জেলায় ফিরে যাবেন শহর আলী। তবে যাওয়ার আগে সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক পলক দেখার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি।
শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন করা হবে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর সড়ক পথ। পরেরদিন ভোর ৬টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে।
২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।

পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।
বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/এএসএম