ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শ্যালককে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, দুজনের মৃত্যুদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি | গাইবান্ধা | প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ৩০ জুন ২০২২

গাইবান্ধার সাঘাটায় পারিবারিক কলহের জেরে এক নারীকে হত্যার দায়ে সাইফুল ইসলাম হাজি ওরফে বাটপার সাইফুল (৩৫) ও আব্দুল করিম (২১) নামের দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক। তারা হলেন পারভীন বেগম, আব্দুল কুদ্দুস রানা ও কহিনুর বেগম বুলি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম হাজি ওরফে বাটপার সাইফুল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ বেপারীর ছেলে এবং আব্দুর করিম একই উপজেলার বসস্তেরপাড়া গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। তারা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই।

jagonews24

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে পারভীন আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বিভিন্ন সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এরইমধ্যে সাইফুল ইসলাম মাদক মামলায় কারাগারে গেলে পারভীন আকতার তার বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। পরে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে সাইফুল ইসলাম তার স্ত্রী পারভীন আকতারকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।

২০১৭ সালের ২৫ জুলাই শ্যালক আব্দুল করিম মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে পারভীন আকতারকে গলা কেটে হত্যা করেন সাইফুল ইসলাম। ৩০ জুলাই সকালে আব্দুল করিমের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত পারভীন আকতারের বড় ভাই আজিজুল রহমান বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে সাঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন সাইফুল ও করিম।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্যা কনক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এটি একটি নৃশৃংস হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া দুজনের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। তবে মামলার বাকি তিন আসামি নিরাপরাধ হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।’

এসআর/জিকেএস