এখনও জমেনি নওগাঁর পশুর হাট
আর ৭ দিন বাদেই ঈদুল আজহা। এ ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁয় পশুর হাটে শুরু হয়েছে বেঁচাকেনা। তবে এখনো জমেনি পশুর হাট। হাটে পশুর আমদানি হলেও নেই ব্যবসায়ী ও ক্রেতা। তুলনামুলক কম দাম হলেও মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা রয়েছে বেশি।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এ বছর জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২০ হাজার ৪০২টি খামারে দেশীয়, অস্ট্রেলিয়ান, ফ্রিজিয়ান ও সিন্ধি জাতের প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩টি গবাদিপশু লালনপালন করা হয়েছে। আর জেলায় চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৯৫ হাজার। উদ্বৃত্ত পশু ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করবেন। জেলায় ২৮টি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে।
জেলার অন্যতম বড় পশুর হাটগুলোর মধ্যে একটি রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাট। সপ্তাহে দু’দিন বুধ ও রোববার হাটবার। বুধবার (২৯ জুন) পশুর হাটে উপজেলার ভেটি গ্রাম থেকে অস্ট্রেলিয়ান জাতের ষাঁড় গরু নিয়ে এসেছিলেন বেলাল হোসেন। তার এ গরুটি বাজারে সবচেয়ে বড়। আবহাওয়া কিছুটা উষ্ণ থাকায় গরুর মালিক মাঝে মধ্যে শরীর ও মাথায় পানি ঢেলে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছিলেন। গরুটির কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় সন্ধ্যায় ফেরত নেওয়া হয়েছে। তবে গরুটি একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন হাটে আসা মানুষ।

হাটে পশুর আমদানি হলেও ক্রেতাশূন্য হওয়ায় কমেছে দাম। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বড় ব্যবসায়ীরা এখনও আসছেন না। তবে শেষ হাটে পশুর দাম বেড়ে যেতে পারে। বড় গরুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা রয়েছে।
গরুর মালিক বেলাল হোসেন বলেন, দেড় বছর আগে দেড় লাখ টাকায় গরুটি কিনেছিলাম। এরপর বাড়িতে প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে লালন পালন করা হয়েছে। গরুটির প্রতিদিন খাবার খরচ প্রায় ২ হাজার টাকা। ওজন প্রায় ৩০ মণ। দাম ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। সাড়ে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। তবে ১৫ লাখ টাকা হলে বিক্রি করে দেবো।
উপজেলার আশরাফুল আলী মৃধা বলেন, আবাদপুকুর হাটটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট। কোরবানির হাট এখনো জমেনি। দেশে কয়েক দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে। মানুষের আর্থিক অভাব রয়েছে। আবার বাইরের বড় ব্যবসায়ীরাও এখনো হাটে আসা শুরু করেননি। এ কারণে পশুর দাম তুলনামূলক কম। গরুর দাম কম হওয়ায় অনেকেই বিক্রি না করে বাড়ি ফেরত নিয়ে গেছে।

বগুড়ার আদমদীঘি থেকে হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছিলেন ছোট ব্যবসায়ী রতন আলী। তিনি বলেন, ১০ দিন আগে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে কৃষকের বাড়ি থেকে একটি ষাঁড় কিনেছি। হাটে বিক্রি করতে এসে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। গত বছরের তুলনায় এবার দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে। যদি পশুর দাম কম হয় তাহলে আমার মতো ছোট ব্যবসায়িসহ খামারিদের লোকসান গুনতে হবে।
রানীনগর আবাদপুকুর হাট ইজারাদারদের একজন আব্দুস সামাদ বলেন, কোরবানি ঈদে এ হাটে প্রায় দেড় হাজারের মতো গবাদি পশুর আমদানি হয়ে থাকে। এবার হাটে পশুর আমদানি হলেও বেচাকেনা কম। সামনে আরো হাট রয়েছে। আশা করছি সামনের হাট আরো জমজমাট হবে।
আব্বাস আলী/এফএ/এমএস
সর্বশেষ - দেশজুড়ে
- ১ স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ
- ২ মৃতের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ
- ৩ গাজীপুরে ভাড়া ফ্ল্যাটের দরোজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার
- ৪ নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন, ইউনূসের হাত রক্তে রঞ্জিত
- ৫ ঠাকুরগাঁওয়ে সারের ডিলারশিপ বাঁচাতে পদ ছাড়লেন ইউপি চেয়ারম্যান