যানজট নেই মাওয়া টোলপ্লাজায়
ঈদকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে মহাসড়কে দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যাত্রী-যানবাহনের ঢল নামে। দুপুরে মাওয়া টোলপ্লাজার অভিমুখে দেখা যায় যানবাহনের উপচেপড়া চাপ।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার মোড় থেকে এক্সপ্রেসওয়ের মাওয়ামুখী লেনে ছিল তিন কিলোমিটারের বেশি যানবাহনের সারি। তবে বিকেলের দিকে চাপ অনেকটাই কমে আসে। বিকেল ৪টার পর থেকে চাপ কমতে শুরু করে টোলপ্লাজায়। সন্ধ্যার আগে স্বাভাবিক হয়ে যায় চিত্র।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে সরেজমিন টোলপ্লাজায় দেখা যায়, প্রতিটি টোল বক্সের সামনে ৩-৪টি করে গাড়ি রয়েছে। স্বাচ্ছন্দ্যে টোল দিয়ে সেতুর পানে ছুটে চলছেন ঘরমুখী মানুষ। পাঁচটি টোল বুথ দিয়ে টোল দিচ্ছে জাজিরামুখী যানবাহন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টোল প্লাজার একজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, বিকেল ৪টার পর থেকে যানবাহনের চাপ একেবারেই কমে আসে। তবে এখন অনবরত লোকজন আসছেন।

এদিকে ব্যক্তিগত গাড়ি, গণপরিবহনের পাশাপাশি অনেকে যাত্রীকে বিকেলে ট্রাকে চড়ে টোলপ্লাজায় আসতে দেখা গেছে। তাদের কয়েকজন জানান, পরিবহন সংকটের কারণে তারা ট্রাকে করে আসছেন। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আসতে ১০০-১৫০ টাকা ও ঢাকার পোস্তগোলা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৩০০-৪০০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেট জয়ন্ত পোদ্দার বলেন, সন্ধ্যায় একেবারেই যানবাহনের চাপ কমে যায়। এখন যারা আসছেন তারা খুব সহজেই সেতু পারি দিতে পারছেন। কোনোরকমের যানজট নেই। তবে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/এএসএম