ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিন: জাল-ট্রলার মেরামতে কেটেছে জেলেদের সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক | পটুয়াখালী | প্রকাশিত: ০৮:৫৪ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২২

উত্তাল সাগরে মাছ শিকার করতে জেলেদের সঙ্গী ট্রলার আর জাল। প্রয়োজনীয় মূল্যবান এই জিনিস দুটির প্রতি তাই তো জেলেদের থাকে বাড়তি নজর। ভালো ট্রলার না থাকলে যেমন সমুদ্রের সঠিক স্থানে পৌঁছানো সম্ভব হয়, তেমনি ভালো জাল না থাকলে মাছ ধরারও সম্ভব হয় না। তাই তো নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিন অধিকাংশ ট্রলার মালিকই জাল তৈরি, মেরামত ও ট্রলার মেরামতের কাজ করেছেন।

পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে মৎস্য বন্দর ও মাছ ঘাট। এসব ঘাটে বিভিন্ন আকার আকৃতির ট্রলার চলাচল করে। ট্রলারগুলোতে জালেরও ভিন্নতা রয়েছে। গভীর সাগরে মাছ শিকারের জন্য যেমন জাল রয়েছে তেমনি সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকায় মাছ শিকারের জন্য আলাদা জাল রয়েছে। এসব জালের ছোটখাটো ত্রুটি জেলেরাই মেরামত করেন। তবে বড় ধরনের মেরামত করতে হলে সেটি শ্রমিক নিয়োগ করে মেরামত করা হয়।

jagonews24

পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনাছার উদ্দিন মোল্লা জানান, শনিবার (২৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে জেলেরা ট্রলার নিয়ে সাগরে যাবেন। এর আগেই জাল প্রস্তুত করাসহ ট্রলারের যাবতীয় কাজ শেষ করেছেন। গভীর সমুদ্রে যারা মাছ শিকার করেন তারা কট সুতার লাল জাল ব্যবহার করেন। প্রতিটি ট্রলারে প্রায় ৬০ মণ জালের প্রয়োজন হয়। নতুন এই জালের দাম প্রায় ৪০ লাখ টাকা। আর যেসব ট্রলারে সাদা সুতার জাল ব্যবহার করা তাদেরও ২০ থেকে ২২ মণ জালের প্রয়োজন হয়। এর দাম প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা। ট্রলারে সাধারণত ছোটো মেরামতের কাজগুলো জেলেরাই করে থাকেন। নিষেধাজ্ঞার এই সময় অনেকেই জাল, রশি মেরামতসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে নিয়েছেন। এছাড়া যে সব ট্রলারের ইঞ্জিনে ত্রুটি ছিল তারাও প্রয়োজনীয় কাজ করিয়েছেন। আর যেসব ট্রলারের বডিতে সমস্যা ছিল তারা ডকইয়ার্ডে তুলে কাজ করিয়েছেন।

jagonews24

পটুয়াখালী সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মুহম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া ট্রলারগুলোকে নির্দিষ্ট ফাঁসের জাল ব্যবহার করতে হয়। সাগরের গভীরতা এবং মাছ ধরার ওপর ফাঁসের তারতম্য হয়ে থাকে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো ট্রলার ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটারের নিচে কোনো ফাঁসের জাল ব্যবহার করতে পারে না।

গত ২০ থেকে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। নিষেধাজ্ঞার এই সময় শেষ হচ্ছে শনিবার মধ্য রাতে। ৬৫ দিনের এই সময় জেলেরা যাতে সাগরে মাছ শিকার না করেও পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে পারে সেজন্য ভিজিএফের মাধ্যমে জেলে প্রতি ৪০ কেজি করে চাল দিয়েছে সরকার। এবার জেলায় ৪৮ হাজার জেলেকে বিশেষ এই ভিজিএফ দেওয়া হয়।

আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরআর/এমআরএম