ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জামালপুরে বিলুপ্তির পথে দেশিয় কানি-সাদা বক

নাসিম উদ্দিন | প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০২২

এখন আর আগের মতো দেখা যায় না দেশিয় কানি ও সাদা বক। জলবায়ু পরিবর্তন, অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, গাছপালা নিধন ও শিকারসহ নানা কারণে বিলুপ্তির পথে এরা। সম্প্রতি জামালপুরের সুবর্ণখালি নদীতে দেখা মিললো এক ঝাঁক দেশিয় কানি ও সাদা বকের। জেলেদের জালের ওপর বসা এসব পাখির মুগ্ধতা ছড়ানো দৃশ্য মন জুড়িয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পাখির আনাগোনা ছিল। সন্ধ্যা হলেই পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠতো চারপাশ। তবে এখন সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। পাখি কমে যাওয়ার প্রধান কারণ শিকার। বিলপাড়ের উঁচু গাছবিহীন স্থান ও বিস্তীর্ণ ধানি জমিতে শিকারিরা ফাঁদ পেতে বক শিকার করেন। পরে তারা এগুলো বিভিন্ন হাটে-বাজারে বিক্রি করেন।

jagonews24

মিঠাপানির জলাশয় ও উপকূলীয় অঞ্চলে এদের দেখা যায়। সাধারণত এরা মাছ, পোকামাকড়, শামুক, ঝিনুক ও ব্যাঙ খেয়ে বেঁচে থাকে। নদী, খাল-বিল, হাওর, পুকুর, ডোবায় এদের দেখা যায়। এরা অতিরিক্ত মাছ খেয়ে বিভিন্ন জলাশয়ে বাস্তুসংস্থান ঠিক রাখে।

তোফাজ্জল হোসেন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এক সময় ক্ষেত-খামারে কানি ও সাদা বক দেখা গেলেও এখন চোখে পড়ে না। মাঝে মধ্যে দু’ একটা দেখা গেলেও শিকারিরা সেগুলো ধরে বিক্রি করে দেন। এসব দেখার কেউ নাই।

jagonews24

পোগলদিঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন জানান, বক হচ্ছে ঝাঁক বাধা পাখি। এরা দল বেধে থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু অবৈধ শিকারসহ নানা কারণে এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাই এদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করে স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বক জাতীয় পাখিদের রক্ষা করতে হলে অবৈধ শিকার বন্ধের পাশাপাশি এদের জন্য প্রয়োজনীয় আবাসস্থল তৈরি করতে হবে। এদের প্রজননের সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে।

jagonews24

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, দেশে ৩২ প্রজাতির বক ও বক জাতীয় পাখি রয়েছে। যারমধ্যে তিনটি এখন বিলুপ্ত। ছয় প্রজাতি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। বকসহ দেশিয় এসব পাখি সংরক্ষণে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।

আরএইচ/এএসএম