ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জামালপুরে ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, ব্রয়লারের কেজি ২০০

জেলা প্রতিনিধি | জামালপুর | প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২২

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে। জামালপুরেও সব পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হু হু করে বাড়ছে ফার্মের ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। দেশে এর আগে কখনো এত দামে মানুষকে ডিম কিনতে হয়নি বলে জানিয়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (১৩ আগস্ট) জামালপুর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

দেখা যায়, বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এক হালি ফার্মের ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন, যা গত এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৪০ টাকা। কেউ কেউ ৪৮ টাকায় বিক্রি করলেও তাদের সংখ্যা খুবই কম। এদিকে হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি তবুও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।

ফার্মের ডিমের পাশাপাশি বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৬০-১৬৫ টাকা। এছাড়া সোনালি মুরগি আগে ছিল ২৫০ টাকা কেজি, এখন যা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। লেয়ার আগে ছিল ২৬০ এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। তবে দেশি মুরগির দাম কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে। দেশি মুরগি আগে ছিল ৫০০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। হাঁস এবং কবুতরের বাচ্চার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগে হাঁস বিক্রি হতো ৩০০ টাকা পিস এখনো তাই বিক্রি হচ্ছে। আগে একটি কবুতরের বাচ্চা ১০০ টাকায় বিক্রি হতো এখনো ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জামালপুর শহরের ছোট বাজারে বাজার কেনাকাটা করতে এসেছিলেন কামাল হোসেন নামে এক রিকশাচালক। তিনি বলেন, বাজার করতেই পারলাম না, সবকিছুর দাম বেশি। কাঁচামরিচ কিনতে চাইছিলাম কিন্তু দাম চাচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকা। তাই না কিনেই চলে যাচ্ছি। এছাড়া ডিম, মুরগি, সবজি সবকিছুর দামই নাগালের বাইরে।

সদর উপজেলার ছোনটিয়া বাজারের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কালাম মিয়া জানান, তারা খামারের ডিম বিক্রি করেন। তাদের খরচ বেশি, তাই বিক্রিও করছেন বেশি দামে। পাইকারি রেটে ১০০ পিস ডিম তারা ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। একসপ্তাহ আগেও এ ডিম তারা এক হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। তবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এখন তারা আর কম দামে ডিম বিক্রি করতে পারেন না। পরিবহন খরচ, লেবার খরচ সবকিছুই বাড়তি। এছাড়াও মুরগির খাদ্য থেকে শুরু করে সবকিছুর দামই বৃদ্ধি পেয়েছে।

একই বাজারের খুচরা বিক্রেতা রবিউল ইসলাম জানান, সপ্তাহখানেক আগেও এক হালি ফার্মের ডিমের দাম ছিল ৪০ টাকা, এখন সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তাদেরকে ৫০ টাকা হালিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে এক হাজার ডিম তারা এক হাজার টাকায় কিনতেন, এখন তিনদিনের ব্যবধানে সেই একই ডিম তাদের ১ হাজার ১১০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তার আর কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জামালপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, কেন এবং কী কারণে ডিমের দামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিষয় মনিটরিং করতে গত কয়েকদিন ধরেই তিনি মাঠ পর্যায়ে রয়েছেন।

মো. নাসিম উদ্দিন/এমআরআর/এএসএম