পিরোজপুরে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চালক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময় ব্যস্ততা দেখিয়ে রোগীদের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স যেতে বাধ্য করেন।
এ নিয়ে সম্প্রতি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের নয়াখালী মাটিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম পাঁচজন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে প্রতিকার চেয়ে ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. কামাল হোসেন মুফতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া পৌর শহরের মধ্যে ৩০০ টাকা, ভাণ্ডারিয়া থেকে বরিশাল পর্যন্ত ১০০০ টাকা এবং খুলনায় ২০০০ টাকা। তবে নির্ধারিত ভাড়ার তোয়াক্কা না করে পৌর শহরের মধ্যে ৫০০-৬০০ টাকা, বরিশাল গেলে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা এবং খুলনা গেলে ৪ হাজার টাকা আদায় করা হয় রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ভান্ডারিয়াসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলা থেকে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা।
অভিযোগকারী প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তায় পড়ে থাকা দুর্ঘটনা কবলিত অসহায় এক রোগীকে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে নিয়ে এলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশালে রেফার করেন। রোগী গরিব হওয়ায় টিএইচও অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ফ্রি করে দিলেও ১০০০ টাকা নেওয়া হয়।
খোদ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাজেদা আক্তারও অ্যাম্বুলেন্সে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে নানি শাশুড়ি অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল নিয়ে যাই। নির্ধারিত ভাড়া তোয়াক্কা না করে অ্যাম্বুলেন্স চালক মনিরুল ২৫০০ টাকা নেন।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাম্বুলেন্সচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়ির তেলের দাম বাড়ায় খরচও বেড়ে গেছে। তবুও কোনো রোগীকে চাপ দিয়ে ভাড়া নেওয়া হয় না। রোগীর কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি জাগো নিউজকে বলেন, ভাড়া বাড়তি নেওয়া সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি ভাড়ায় অ্যাম্বুলেন্স চলবে। তবে তেলের দাম বাড়ায় ভাড়া কীভাবে সমন্বয় করা যায় সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে পিরোজপুর জেলা সিভিলসার্জন ডা. মো. ইউসুফ জাকিরের মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি ঢাকায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সভায় আছেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
এসজে/এমএস