ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়ায় গ্রামের ভেতর সমাবেশ করলো বিএনপি

জেলা প্রতিনিধি | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশিত: ০৯:৪২ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পুলিশের বাধায় এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের ধাওয়ায় গ্রামের ভেতরে সমাবেশ করেছে বিএনপি। বাধার মুখে ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে উপজেলার বুগির গ্রামে একটি স্কুলমাঠে সমাবেশ করেন তারা।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কুটি চৌমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২২ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে জ্বালানি, পরিবহন ভাড়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি গ্রহণ করে বিএনপি। ৩০ আগস্ট কসবা পৌর মুক্তমঞ্চে সমাবেশের ঘোষণা দেন তারা। সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার।

সমাবেশের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা। তবে উপজেলা যুবলীগ আগে থেকেই একই মঞ্চে জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতি নিয়ে রাখায় জেলা প্রশাসনের অনুমতি পায়নি বিএনপি। পরে ওই কর্মসূচি স্থগিত করে পরে সমাবেশের ঘোষণা দেয় দলটি।

বুধবার বিকেলে স্থগিত হওয়া সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলার কুটি চৌমুহনীতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। জেলা প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় সেখানে সমাবেশ করতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ধাওয়া খেয়ে চৌমুহনী এলাকা ছেড়ে চলে যান বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে সমবেত হন উপজেলার বুগীর প্রভাতি কিন্ডারগার্টেন মাঠে। সেখানে সমাবেশ করে বিএনপি। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে আবারও গ্রামের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের বাধায় তারা সড়কে অবস্থান নেন।

jagonews24

এ বিষয়ে কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকলিল আজম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল কুটি-চৌমুহনী এলাকায়। সেখানে পুলিশ-ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আমাদের বাধা দেয়। আমাদের ধাওয়া করে বুগীর গ্রামের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে আমাদের নেতাকর্মীরা সমবেত হলে সমাবেশ করি।’

তবে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রিমন খান বলেন, ‘কুটি এলাকায় আমাদের ছেলেরা মাঠে ছিল। বিএনপির নৈরাজ্য থেকে নিজেদের আত্মরক্ষা করতে হয়তো তারা হাতে লাঠি নিয়েছিল।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, কুটি চৌমুহনীতে বিএনপির সমাবেশের কোনো অনুমতি ছিল না। তাই সেখানে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা বুগীর গ্রামের ভেতরে গিয়ে সমাবেশ করেছেন। তাদের সেখানে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জিকেএস