ছুটি না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখলেন সহকারী শিক্ষক
জামালপুরের বকশিগঞ্জে ছুটি না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। এসময় ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদ হোসেন জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা পাঁচ সেপ্টেম্বর ছুটি চেয়ে একটি আবেদন করেন। কিন্তু ওই সময় আমি নিজেই অসুস্থতার জন্য ছুটিতে ছিলাম। তাই যথাযথভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে তিনি ৬ সেপ্টেম্বর অনুপস্থিত থাকার পরেও বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় নৈমিত্তিক ছুটি শব্দটি লেখেন। পরে বৃহস্পতিবার সেটি কেটে অনুপস্থিত লিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া মাত্রই ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এলাকার প্রায় তিন শতাধিক লোকজন দেশিয় অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে এসে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় তার মদদে স্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন অশ্লীল স্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে তিনঘণ্টা পর পুলিশ বন্দী দশা থেকে আমাকে মুক্ত করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, এসব এলাকার লোকজন করেছে। আমি এসব বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।
এ বিষয় বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়। যথাযথভাবে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাশিদা খাতুন জানান, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তাই প্রধান শিক্ষককে একটা অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে দ্রুতই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/জেআইএম