ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

জেলা প্রতিনিধি | নড়াইল | প্রকাশিত: ০৭:৪০ এএম, ১০ অক্টোবর ২০২২

প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার (১০ অক্টোবর)। এ উপলক্ষে দিনবাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে নড়াইল জেলা প্রশাসন ও শিল্পকলা একাডেমি।

এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় মেছের আলী ও মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য জীবন পেরিয়ে ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। বরেণ্য এই শিল্পীকে নড়াইলের কুড়িগ্রামে শায়িত করা হয়।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে শিল্পীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত, চিত্রা নদীতে শিশুদের নৌকা ভ্রমণ, শিশুদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনী, বিশিষ্ট শিল্পীদের চিত্র প্রদর্শনী, শিশুদের আর্টক্যাম্প, এস এম সুলতানের ওপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন, প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন (আদম সূরাত), শিশুদের নাট্যবিষয়ক কর্মশালা এবং বাউল গানের আসর।

দিনব্যাপী এসব অনুষ্ঠান শিশুস্বর্গ মিলনায়তন, নড়াইল শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়াম এবং শিল্পী সুলতানের হাতে গড়া লাল বাউল সম্প্রদায় চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে।

জানা যায়, লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে সুলতান নড়াইল জমিদার বাড়িতে বিভিন্ন নকশার কাজে রাজমিস্ত্রী বাবাকে সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে চিত্রকলার প্রতি আকৃষ্ট হন। একবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী নড়াইলে আসেন। এসময় তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তা দেখে গেটে দাঁড়িয়ে তাৎক্ষণিক কাগজে তার ছবি এঁকে ফেলেন শিশু সুলতান। এভাবে নড়াইলের জমিদার ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের সুদৃষ্টিতে পড়েন। পরে তিনি ১৯৪১ সালে কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। এভাবেই তার জীবনের শুরু।

১৯৫১ সালে নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৫৫ সালে সবার অলক্ষে করাচি থেকে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৬৮ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন স্কুল অব আর্টস।

নড়াইলের পুরুলিয়ায় ১৯৫৫-৫৬ সালে ‘নন্দন কানন ফাইন আর্ট অ্যান্ড স্কুল, ১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে যশোর এম.এম কলেজের একটি পুরোনো হোস্টেলে একাডেমি অব ফাইন আর্ট স্কুল, ১৯৭৮ সালের দিকে জন্মস্থান নড়াইলের মাছিমদিয়ায় ফাইন আর্ট স্কুল এবং ১৯৮৭ সালে নড়াইলের কুড়িগ্রামে ‌‌‘শিশুস্বর্গ’ নামে শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

চিত্রশিল্পের খ্যাতি হিসেবে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার পেয়েছেন।

এছাড়া ১৯৮২ সালে একুশে পদক ও ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা লাভ করেন।

হাফিজুল নিলু/এমএইচআর