সাগরে জাহাজডুবির ঘটনায় নিহত মাগুরার চারজনের দাফন সম্পন্ন
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙরে জাহাজডুবির ঘটনায় নিহত মাগুরার চারজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মণ্ডলগাতী, খলিশাখালী ও দাতিয়াদহ গ্রামে তাদের দাফন করা হয়।
এর আগে গত বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পাথর বোঝাই করে ফেরার পথে এমভি আকিজ লজিস্টিকস-২৩ এর সঙ্গে সংঘর্ষে এমভি সুলতান সানজানা ডুবে যায়। এ ঘটনায় নিখোঁজ হন মহম্মদপুরের ছয় ব্যক্তি। তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকিরা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- মহম্মদপুরের পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মণ্ডলগাতী গ্রামের সুরুজ বিশ্বাস (১৯) ও শিমুল মোল্যা (৩০), নহাটা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের মনির মোল্যা (২০) এবং বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদাহ গ্রামের নাজমুল হাসান (২৭)। এছাড়া মণ্ডলগাতী গ্রামের জাহিদুল মোল্যা (২৫) ও একই গ্রামের মহম্মদ হোসেন (৪০) এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে, শনিবার মরদেহগুলো নিজ গ্রামে পৌঁছালে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। পরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের জানাজায় অংশ নিয়ে নিহতদের দাফন করেন।

দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ সিকান্দার আলী বলেন, এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দরিদ্র পরিবারগুলোর এ ক্ষতি কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া উচিত।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল জাগো নিউজকে বলেন, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। এ ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার মতো নয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা রয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। খোঁজ পেলেই পরিচয় জেনে মরদেহ আনার ব্যবস্থা করা হবে।
এমআরআর/জেআইএম