ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কালিয়া পৌরভবনে হামলা-ভাঙচুর, ৩৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি | নড়াইল | প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২২

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে কালিয়া পৌরভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কবিরুল হক মুক্তিসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে কালিয়া পৌর ভবনে মেয়র ওয়াহিদুজ্জামার হীরার উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষ প্রার্থী শাহীন সাজ্জাদ খান পলাশ ও তার লোকজন মিটিং করছেন এমন খবর পান এমপি মুক্তি। এরপর রাত ১০টার দিকে তার সমর্থিত প্রার্থী রবিউল ইসলাম খানকে সঙ্গে নিয়ে পৌরভবনে হামলা চালান তিনি। এসময় ভবনের নিচতলা তালাবদ্ধ থাকায় প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও তার লোকজনকে লক্ষ্য করে অশ্লীল গালিগালাজ করে মেয়রের প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও চালককে মারধর করেন তারা। সেইসঙ্গে শর্টগান থেকে গুলিও ছোড়া হয়।

এ প্রসঙ্গে কালিয়া পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামার হীরা বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এমপি মুক্তি তার সমর্থিত প্রার্থী রবিউল ইসলাস খানকে সঙ্গে নিয়ে পৌরভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান। বিষয়টি সিসিটিভি ফুজেজে ধারণ করা আছে। এটি এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

কালিয়া পৌরভবনে হামলা-ভাঙচুর, ৩৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শামিম আহম্মেদ বলেন, ‘যেহেতু নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি ঘটনাস্থলে থেকে হামলা চালিয়েছেন সেহেতু তাকে ১ নম্বর আসামি করে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের (কালিয়া উপজেলা) সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী ও কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’ কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি দেখা গেছে জানালে তিনি ফোন কেটে দেন।

কালিয়া পৌরভবনে হামলা-ভাঙচুর, ৩৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তির ফোনে একাধিকার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ৩৪ জনের নামে অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাফিজুল নিলু/এমআরআর/জেআইএম