ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জামালপুরে আকস্মিক বন্যায় কৃষকের মাথায় হাত

জেলা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৫:২৮ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২২

উজানের পাহাড়ি ঢলে জামালপুরে অসময়ে বেড়েছে যমুনা নদীর পানি। এতে সদর উপজেলা, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ীর এক হাজার ১৯০ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।

সরেজমিনে জেলার কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, আমন ধান, মরিচ, ভুট্টা, পেঁয়াজ, মাশকলাই ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকের এখন মাথায় হাত। এদিকে ক্ষেতে যেন পানি না ঢুকতে পারে তার জন্য চারপাশে আইল তৈরি করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিচ্ছেন অনেকে। 

ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তারা বলেন, অসময়ে এমন পানি বাড়তে আগে কখনো দেখেনি। আগে জানলে আরও পরে চাষ করতাম। এখন এ পানি দ্রুত নেমে না গেলে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে।

টুপকারচর এলাকার কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, মরিচ এবং পেঁয়াজের ক্ষেতে পানি ঢুকলে সেই ক্ষেত আর থাকে না। পানি ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে মরিচ গাছ মরতে শুরু করে। পেঁয়াজ গাছ পচতে থাকে। আমার সম্পূর্ণ ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের কান্দারপাড়া এলাকার সেকান্দার আলী নামে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ জাগো নিউজকে বলেন, আমার জীবনে এমন অসময়ে নদীর পানি কখনো বাড়তে দেখিনি। গত কয়েকদিন থেকে পানি বাড়ছে। পানি বাড়ায় ৭৭ শতাংশ ক্ষেতের ধান তলিয়ে গেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আরেক মৌসুম না আসা পর্যন্ত এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো না। এতদিন চলবো কীভাবে সেটাও চিন্তা করছি।

ওই এলাকার আফরোজা বেগম, সখিনা, কিনু মন্ডল, হারুন মিয়াসহ অনেক কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সবার ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গেছে। তারা চাইলেও এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার মতো না। সারাবছর তারা এ মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করেন। কারণ এ মৌসুমে পেঁয়াজ, মরিচসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু অসময়ে এমন পানিতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেলো।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে এক হাজার ১৯০ হেক্টর ফসলি জমি ডুবে গেছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।

মো. নাসিম উদ্দিন/আরএডি