‘আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অপমানিত হতে চাই না’
নজরুল ইসলাম মুকুল মৃধা ও তার নির্বাচনী পোস্টার
ঝালকাঠি জেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজাপুর উপজেলায় সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে টিউবওয়েল প্রতীকে কোনো ভোট পাননি নজরুল ইসলাম মুকুল মৃধা। এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জাতীয় সংসদ ও সর্বশেষ জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। তবে সব নির্বাচনেই তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এ কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। মুকুল মৃধা রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক।
বারবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আশানুরূপ ভোট না পাওয়ায় তিনি বলেন, ভোটাররা নিজেদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারেননি। তারা দলীয় চাপের মুখে আমাকে ভোট দেননি। তা ছাড়া আমি কাউকে কোনো টাকাও দিতে পারিনি।
এর আগে উপজেলা পরিষদ ও জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সব নির্বাচনেই দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। আমি নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আর হলো না। আমি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান হয়েও যখন মনোনয়ন পাই না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কাঙ্ক্ষিত ভোট পাচ্ছি না, তখন আমি আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বারবার অপমানিত হতে চাই না। এই নির্বাচন করে করে আমি আমার পরিবার, ব্যবসা-বাণিজ্য, মান-সম্মান সব নষ্ট করেছি। তাই এ পথে আমি আর যাব না।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজাপুর উপজেলায় সদস্য পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে রাজাপুরে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজ। তিনি ৭৯ ভোটের মধ্যে ৪৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া তরিকুল ইসলাম তারেক পেয়েছেন ২৫, সিদ্দিকুর রহমান পেয়েছেন সাত ভোট। একজন ভোটার সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট দিলেও সাধারণ সদস্য পদে ভোটদানে বিরত ছিলেন।
আতিকুর রহমান/এমআরআর/জেআইএম