ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মধুমতি সেতুতে সাতদিনে টোল আদায় ২৩ লাখ টাকা

জেলা প্রতিনিধি | গোপালগঞ্জ | প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২২

গোপালগঞ্জ মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত ছয় লেনের মধুমতি সেতু উদ্বোধনের প্রথম সাতদিনে ২৫ হাজার ৫৮৭টি যানবাহন পারপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২৩ লাখ ৩৪ হাজার ২৫০ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ অক্টোবর দৃষ্টিনন্দন এ সেতুর উদ্বোধন করেন। ওইদিন রাত ১২টা ১ মিনিটি থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।

এরমধ্যে প্রথম দিনে ১১ অক্টোবর ৩ হাজার ৫৭৬টি গাড়ি পারাপারে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৫৫ টাকা টোল আদায় হয়। দ্বিতীয় দিন ১২ অক্টোবর ৩ হাজার ৫৫৪টি গাড়ি পারাপারে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২২৫ টাকা, ১৩ অক্টোবর ১ হাজার ৯৯১টি গাড়ি পারপারে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮২০ টাকা, ১৪ অক্টোবর ৫ হাজার ৪৬৩টি গাড়ি পারাপারে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯০ টাকা, ১৫ অক্টোবর ৪ হাজার ৪০টি গাড়ি পারাপারে ৩ লাখ ৩ হাজার ৬০০ টাকা, ১৬ অক্টোবর ৩ হাজার ১০৪টি গাড়ি পারাপারে ২ লাখ ৮২ হাজার ৯৫০ টাকা এবং ১৭ অক্টোবর ৩ হাজার ৮৫৯টি গাড়ি পারপারে টোল আদায় হয় ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১০ টাকা।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, টোল আদায় ব্যবস্থার এখনো ইজারা হয়নি। গোপালগঞ্জ সওজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টোল আদায় করছেন। টোলের কম্পিউটারাইজ রশিদ দেওয়া হচ্ছে।

গত ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয় থেকে ভিডিওকনফারেন্সের মাধ্যমে মধুমতি নদীর কালনা পয়েন্টে সেতুর উদ্বোধন করেন। এটি স্থানীয়দের কাছে কালনা সেতু নামে পরিচিত।

মধুমতি সেতুর পূর্ব পাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং পশ্চিম পাড়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা। কিন্তু এ সেতুটি গোপালগঞ্জ জেলা সীমানার মধ্যে পড়েছে। তাই গোপালগঞ্জ অংশে টোলপ্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এটি নিয়ন্ত্রণ করছে।

এদিকে সেতু চালু হওয়ার আগে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টেম্পো, তথা তিন চাকার যান কালনা ঘাট থেকে লোহাগড়া ও নড়াইলে যাতায়াত করতো। ওই যানবাহনগুলো এখন কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া মোড় থেকে লোহাগড়া ও নড়াইল যাতায়াত করছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমেছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুর টোল হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কন্টেইনার বা ভারী মালামাল পরিবহনে সক্ষম যানের টোল ধরা হয়েছে ৫৬৫ টাকা, বড় ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান ৪৫০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ২২৫ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস বা পিকআপ ৯০ টাকা, সিডান কার ৫৫ টাকা, টেম্পো বা সিএনজি অটোরিকশা ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং ভ্যান, রিকশা বা বাইসাইকেল ৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাপানি ও বাংলাদেশি ঠিকাদারেরা যৌথভাবে সেতুটি তৈরি করেছেন। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১০ মিটার।

গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, এ রুটে পুরোদমে এখনো গাড়ি চলাচল শুরু হয়নি। ভোমরা, বেনাপোল পোর্ট ব্যবহারকারীরা অচিরেই রুটটি ব্যবহার শুরু করবেন। এছাড়া ঢাকা-বেনাপোল, ঢাকা-যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০ জেলার পরিবহন চলাচল পুরোপরি শুরু হলে টোল আদায়ের হার আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের লোকবল দিয়ে কিছু দিন টোল কালেকশন করবো। এরপর টোল আদায়ের গড় হিসাব করে দেখা হবে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে মধুমতি সেতুর টোল আদায়ে ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। টোল কালেকশন সিস্টেম কম্পিউটারাইজ করা হয়েছে। ফলে এখান থেকে শতভাগ টোল আদায় সম্ভব হবে।

এমকেআর/জেআইএম