ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফরিদপুরে অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে ফেমাস বাংলা ফাউন্ডেশন উধাও

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৭:১৮ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২২

ফরিদপুরের নগরকান্দায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে ফেমাস বাংলা ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও পালিয়ে গেছে।উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হত-দরিদ্র মানুষকে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় একটি প্রতারক চক্র।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) হঠাৎ অফিসে তালা ঝুলিয়ে সঞ্চয় করা টাকা নিয়ে ফেমাস বাংলা ফাউন্ডেশন নামে প্রতারক চক্রটি উধাও হয়ে যায়।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ফেমাস বাংলা ফাউন্ডেশন নামে উপজেলা পরিষদের পাশে আব্দুল মান্নানের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে অফিসের কার্যক্রম শুরু করে। পরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে হত দরিদ্র পরিবারগুলোকে টার্গেট করে।

এসব পরিবারের নারীদের নানা প্রলোভন দিয়ে সাপ্তাহিক সঞ্চয় শুরু করে। কয়েক সপ্তাহ পরে অল্প সুদে মোটা অংকের ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে এককালীন ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে সঞ্চয় জমা নেয়। এভাবে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা সঞ্চয় সংগ্রহ করে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে উপজেলার কাইচাইল গ্রামের নাজমা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ফেমাস বাংলা ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও গত মাসে আমাদের গ্রামে এসে ঋণ দেওয়ার নাম করে বেশ কয়েকটি পরিবার থেকে সঞ্চয় উঠায়।

‌‘অনেকের মতো আমিও সরল বিশ্বাসে সঞ্চয় দেই। কয়েক কিস্তি সঞ্চয় দেওয়ার পর আড়াই লাখ টাকা দেবে বলে আমার কাছ থেকে নেয় সাড়ে তেরো হাজার টাকা নেয়। পরে জানতে পারি তারা প্রতারক। টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

একই এলাকার আরেক ভুক্তভোগী তহমিনা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, আমার কাছ থেকে কিস্তি নিয়ে তিন লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে এককালীন ২০ হাজার টাকা নেয়। পরে জানতে পারি তারা প্রতারক চক্র। মানুষের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।

‘এছাড়াও রোকেয়া বেগম, ছবিরুন নেছা, আছিয়া, মর্জিনা, চায়না বেগমসহ প্রায় শতাধিক সদস্যদের নিকট থেকে কমপক্ষে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বাড়িতে এনজিওর অফিস ভাড়া নেওয়ার জন্য এমন কয়েকজন লোক এসেছিলেন। কিন্তু আমি তাদের কাছে কোনো বাড়ি ভাড়া দেইনি। এমনকি আমি তাদের চিনিও না।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে প্রতারকদের খুঁজে বের করা হবে।

এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমাম রাজী টুলু বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

এন কে বি নয়ন/এমআরএম