ঝিনাইদহে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ইটভাটাগুলোতে দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। অথচ সরকারের প্রথম শর্তই হচ্ছে ইটভাটায় কোনো কাঠ পোড়ানো যাবে না। সরকারের এই নির্দেশনা অমান্য করে ইটভাটা মালিকরা প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে কাঠ পোড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই অধিকাংশ ইটভাটার মালিক লোকালয়ে এমনকি স্কুল থেকে ৩০-৪০ গজ দূরে ফসলি জমির উপর অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করে হাজার হাজার মণ কাঠ দিয়ে দেদারছে ইট পোড়ানোর কাজ চালিযে যাচ্ছেন। ইচ্ছে মতো কাঠ পোড়ানোর ফলে একদিকে উজাড় হয়ে যাচ্ছ আম, কাঠাল, জাম, লিচু, মেহগুনিসহ বিভিন্ন ধরনের বাগান। অন্যদিকে বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে খেজুর বাগান। যেন দেখার কেউ নেই।
জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, মহেশপুর উপজেলায় রয়েছে প্রায় ১৮টি ইটভাটা।
নস্তী উজলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আকলিমা চৌধুরী বলেন, স্কুল থেকে মেসার্স শাকিল ইটভাটার দূরত্ব ২০-৩০ মিটার হওয়াতে গাড়ির শব্দ ও ধুলাবালিতে তাদের শিক্ষাদানে ব্যাঘাত ঘটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইটভাটার মালিক জানান, মহেশপুর উপজেলায় ১৮টি ইটভাটা রয়েছে। সরকারের আইন মেনে নাম সর্বস্ব কয়লা ব্যবহার করে চলছে মাত্র কটি ইটভাটা।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান জানান, আমরা খুব তাড়াতাড়ি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ওইসব ইটভাটা ও মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
এসএস/আরআইপি