রাসমেলা
কুয়াকাটায় উৎসবের আমেজ, বাহারি পণ্যের পসরা
বাহারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা
নানা আয়োজনে উদযাপিত হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রাসলীলা। সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে ভগবানকে আমন্ত্রণ, মঙ্গল ঘট স্থাপন, সন্ধ্যা আরতি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা। তবে সকাল থেকেই শুরু হয়েছ রাসমেলা।
মেলাকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় ভিড় করছেন দর্শনার্থীরাও। আর জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে কয়েকশ দোকান। এতে শিশুদের খেলনা, ক্রোকারিজ, পোশাক সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে।

বাকেরগঞ্জ থেকে আসা দোকানি ক্রোকারিজের মালামাল বিক্রি করছিলেন রতন। তিনি বলেন, ‘দেশের সব জায়গায় মেলায় দোকান করি। প্রতিবছরের মতো এবারও কুয়াকাটায় এসেছি।’
এদিকে রাস মেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে আছে কুয়াকাটাসহ আশপাশের এলাকা। নিরাপত্তা নিয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জাগো নিউজকে বলেন, গতবছরের চেয়ে বাড়িয়ে এবছর প্রায় ৪৪৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে তারা দায়িত্ব পালন করছে।

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছরের চেয়ে এবার একটু ভিন্নভাবে রাসমেলা উদযাপন করতে এ আয়োজন। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সার্বিকভাবে সিসি ক্যামেরার আওতাধীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো তদারকি করা হচ্ছে। আশাকরি সুন্দরভাবে উদযাপিত হতে যাচ্ছে এ মেলা।
মেলার বাড়তি আনন্দ দিতে সন্ধ্যার পর রাখাইন মার্কেট মাঠে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে গান পরিবেশন করবেন কণ্ঠশিল্পী বিন্দু কনা।

মঙ্গলবার ৮ নভেম্বর কাকডাকা ভোরে দেবতার নীল কমল আর গঙ্গাদেবীর আরাদনার খোঁজে স্নানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/জিকেএস