নরসিংদীতে থানাহাজতে আসামির গলায় ফাঁস
নরসিংদী রায়পুরা থানা হেফাজতে সুজন মিয়া (৩৫) নামের হত্যা মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে হাজতখানার রডের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুজন মিয়া রায়পুরা উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। ১৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে লাভলী আক্তারকে বিয়ে করেন সুজন মিয়া। সম্প্রতি প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে ফিরে আসেন সুজন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় ও দেশে ফিরে সুজন মিয়া ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে স্ত্রী লাভলীকে মোবাইল ফোনে অন্য ছেলেদের সঙ্গে কথা বলা দেখে সন্দেহ করতেন সুজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো।
শনিবার রাতে বাসায় ফিরে এলে তাদের পরকীয়া নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সুজন লাভলীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। পরে সুজন মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যান। লাভলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয় তাকে। সোমবার ফরিদপুর জেলার আটরশি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর জাগো নিউজকে বলেন, গৃহবধূ লাভলী বেগম হত্যার ঘটনায় তার মা মালেকা বেগম সোমবার রাতে সুজন ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মঙ্গলবার সুজনকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ফের তাকে থানা হাজতে নিয়ে আসে। সকালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য নাস্তা দিতে গেলে সুজনকে হাজতখানার রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সঞ্জিত সাহা/এসজে/জেআইএম