ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি

৪৫ দিন পর আরও একজনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি | পঞ্চগড় | প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০২২

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীর আওলিয়ার ঘাটে মর্মান্তিক নৌকাডুবি ঘটনার ৪৫ দিন পর ভূপেন্দ্রনাথ রায় পানিয়া (৪৪) নামে নিখোঁজ একজনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ নভেম্বরে) দুপুরে মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাটের ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার মরদেহ দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্র শিকারপুর গ্রামের মদন কুমার রায়ের ছেলে পানিয়ার বলে শনাক্ত করেছেন পরিবারের লোকজন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক করতোয়া নদীর আওলিয়ার ঘাটে পাথর ও বালি তুলছিলেন। পাথর তোলার যন্ত্রে মরদেহটি বালুর ভেতর থেকে ওপরে উঠে আসে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে যান। খবর পেয়ে নিহতের পরিবারে সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পোশাক ও পকেটে থাকা একটি মোবাইলফোন দেখে তা নিখোঁজ পানিয়ার মরদেহ বলে শনাক্ত করেন।

jagonews24

স্থানীয়দের ধারণা, মরদেহটি বালুর নিচে ছিল বলে ৪৪ দিনেও পুরোপুরি গলে যায়নি। এ নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭০ জনে। তবে এখনো দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।

স্থানীয় রবিউল ইসলাম বলেন, বালু ও পাথর শ্রমিকরা পাথর উত্তোলনের সময় মরদেহটি দেখতে পান। এরপর তারা প্রথমে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেন। পরে পরিবারের লোকজন মরদেহের পরনে থাকা কাপড় ও পকেটে থাকা মোবাইলফোন দেখে সেটি পানিয়ার বলে শনাক্ত করেন।

মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আনসার রেজাউল করিম শামিম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। নৌকা ডুবির ঘটনায় আমাদের সর্বশেষ ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয় এবং তিনজন নিখোঁজ ছিল। এদের মধ্যে আজকে একজনের অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়। তার পরনের কাপড় এবং পকেটে থাকা মোবাইলফোন দেখে পরিবারের লোকজন মরদেহ শনাক্ত করেন।

নৌকা ডুবির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর রায় বলেন, নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে একজন যুবক, একজন বৃদ্ধ এবং একজন শিশু ছিল। তাদের মধ্যে উদ্ধার মরদেহ ভূপেন্দ্রনাথ রায়ের বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী এখনো আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্থানীয় শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী মহালয়া পূজা উৎসব উৎযাপনে বদেশ্বরী মন্দির যাওয়ার সময় করতোয়া নদীর আওলিয়ার ঘাটে মর্মান্তিক নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের চতুর্থদিন একজনসহ মোট ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় দেবীগঞ্জ শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্র শিকারপুর গ্রামের ভূপেন্দ্রনাথ রায় পানিয়া (৪০), একই উপজেলার সাকোয়া ডাঙ্গাপাড়ার সুরেন্দ্রনাথ (৬৫) এবং বোদার ঘাটিয়ার পাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথের শিশুকন্যা শ্রীমতি জয়া রানী (৪) নিখোঁজ ছিল। এর মধ্যে আজ পানিয়ার মরদেহ উদ্ধার হলো।

সফিকুল আলম/এমআরআর/জিকেএস