ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগী

জেলা প্রতিনিধি | শরীয়তপুর | প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২২

চার মাস বয়সী ফয়সালের কয়েকদিন ধরে তীব্র জ্বর। এর সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও রয়েছে। প্রথম তিন-চার দিন বাসাতে রেখেই ছেলের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন নড়িয়া উপজেলার শিলঙ্গর এলাকার মা শ্যামলী বেগম। কিন্তু অসুখ বাড়তে থাকায় ছেলেকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চারদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ফয়সাল।

এদিকে, সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার দুই মাস বয়সী সাইম চারদিন ধরে জ্বর ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া পালং ইউনিয়নের নরবালাখানা এলাকার রাফিয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, হঠাৎ ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুরা জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগী

শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত বেড খালি না থাকায় ফয়সাল, সাইম ও রাফিয়ার মতো অতিরিক্ত রোগীকে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিচ্ছেন।

সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ১৩টি। কিন্তু শনিবার রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৯ জন। অন্যদিকে, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ১০টি। কিন্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩২ জন।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগী

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (শিশু বিশেষজ্ঞ) ডা. রাজেশ মজুমদার বলেন, ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুদের জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া বাড়ছে। আমরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। সাধারণত তরল জাতীয় খাবার বেশি দিলে বাচ্চাগুলো দ্রুত ভালো হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, শিশুদের ঠান্ডা থেকে নিরাপদে রাখতে হবে। ডায়রিয়া হলে ঘনঘন ওরস্যালাইন খাওয়াতে হবে। তরল খাবার ও মায়ের বুকের দুধ বেশি খাওয়াতে হবে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুস সোবহান বলেন, ঠান্ডাজনিত কারণে জ্বর ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। একই কারণে শ্বাসকষ্টজনিত নিউমোনিয়া রোগের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। শিশুদের বেশি করে নিরাপদ পানি পান করানো, নবজাতকদের ঘন ঘন বুকের দুধ দেওয়া এবং পচা-বাসি খাবার না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

মো. ছগির হোসেন/এমআরআর/জেআইএম