সরকারি রাস্তায় বাঁশ-গাছের ডালের বেড়া, অবরুদ্ধ ৯ পরিবার
সরকারি রাস্তায় বাঁশ-গাছের ডালের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে নয়টি পরিবারের যাতায়াত। ঘটনাটি শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের।
এ ঘটনায় অবরুদ্ধ পরিবারগুলোর সই করা অভিযোগপত্র ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌরসভার মেয়রের কাছে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ডামুড্যা এলাকার খালপাড়ের কাঁচা রাস্তা দিয়ে প্রায় একশত বছর ধরে যাতায়াত নয়টি পরিবারের। সরকারিভাবে বেশ কয়েকবার রাস্তাটিতে মাটি দিয়ে মেরামত এবং কালভার্ট তৈরি করা হয়েছে। বিআরএস রেকর্ডে ৩৯২ নম্বর দাগে শ্রেণি পথ ভূমি ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ নকশায় পথ (রাস্তা) দেখানো হয়েছে। এছাড়া বিআরএস ৪১৬ নম্বর খতিয়ানে ব্যাক্তির নামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে পাকা করতে ডামুড্যা পৌরসভা একটি টেন্ডারও নিয়েছে। নয়টি পরিবার ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের রাস্তাটিতে বাঁশ ও গাছের ডাল দিয়ে পাঁচটি বেড়া দিয়েছে। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পরেছে নয়টি পরিবার। তারা অন্যের বাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন।

মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুস ছাত্তার পাইকসহ অবরুদ্ধ পরিবারের লোকজন বলেন, প্রতিবেশী ইমাম হোসেন ইমন, হুমায়ুন কবির উজ্জ্বল ফকির ও সুমন ফকির মিলে আমাদের যাতায়াতের পথটি বন্ধ করে দিয়েছে। তারা গাছের ডাল ও বাঁশ দিয়ে পাঁচটি বেড়া দিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমরা অন্যের বাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছি। এতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমরা চাই রাস্তার বেড়া তুলে নেওয়া হোক ও পৌরসভা থেকে দ্রুত রাস্তাটি পাকা করে দেওয়া হোক।
এদিকে, বেড়া দেওয়া ইমাম হোসেন ইমন বলেন, রাস্তাসহ ওইখানে যে জমি আছে, তা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। তাই আমরা বেড়া দিয়েছি। তাতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল বলেন, এবছর যে বরাদ্দ এসেছে তা দিয়ে পৌরসভার কিছু সড়কের টেন্ডার আহ্বান করি। ওই সড়কটির জন্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একটি চাহিদাপত্র দিয়েছিল। যেহেতু রাস্তাটি সরকারি তাই রাস্তাটি পাকা করা হবে। এখন সরকারি রাস্তাটির ওপর বেড়া দিয়েছে। জনগণের ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। ব্যাপারটি আমি দেখবো। এরই মধ্যে ঠিকাদারকে রাস্তার কাজ ধরার জন্য বলেছি।
মো. ছগির হোসেন/জেএস/জিকেএস